১০ কোটি ভোটার পাচ্ছেন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রআর অপেক্ষা নয়, দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ কোটি ভোটারের হাতে আন্তর্জাতিক মানের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। শুরুতেই রাজধানীর ৪৪ লাখ ভোটারদের মাঝে বিতরণ করা হবে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র। দেড় বছরের মধ্যে সারাদেশে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি, এর মধ্যে ভোটার ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫শ জন ভোটার। ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির মধ্য দিয়ে প্রায় ৮ কোটি ভোটারের হাতে পৌঁছে দেয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র।এবার প্রযুক্তির পথে নতুন মাইলফলক আর নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রায় ১০ কোটি ভোটারের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেবে নির্বাচন কমিশন।

সচিব মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। এখন সেটা আমরা বিতরণ করতে চাই। প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছি। দেড় বছর ধরে বিতরণ চলবে। সবক্ষেত্রেই এই আইডি ব্যবহৃত হবে। যেকোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগ যে সার্ভিস আমাদের দেবে সেসব ক্ষেত্রে এটাই হবে সবার মূল আইডি নম্বর। সব ঠিক থাকলে ২ তারিখে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবো। সারাদেশে প্রত্যেক ভোটার এলাকায় এক বা একাধিক ক্যাম্প করা হবে। সেখানে গিয়ে ভোটাররা তাদের যার যার পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়ে নতুন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। ২৫ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার সময় ভোটারদেরকে ১০ আঙ্গুল এবং কর্নিয়ার ছাপ দিতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন ।

মো: সিরাজুল ইসাম আরো জানান, এখন যে লেমেনেটিং করা কার্ডটি আছে সেটা ফেরত দিতে হবে। সেটা ফেরত নিয়ে স্মার্ট কার্ড হস্তান্তর করবো। এটি এতটাই নিরাপদ যে কেউ ইচ্ছা করলে এটা নকল করতে পারবে না। তারপরও করতে চাইলে অন্তত ২ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে।

২ অক্টোবর রাজধানীতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরুর সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের একটি দুর্যোগ প্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষের মধ্যেও কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।