রাজশাহীতে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে চরের বাগান। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে তৈরি বাগান ডুবে গাছপালা মারা গেছে। মারা গেছে অনেক প্রাণী, আর হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য, ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে উপকারভোগীরা। উজান থেকে ফারাক্কার পানি নেমে আসায় পদ্মা নদীর চরের ৯৬ হেক্টর বাগান পানিতে তলিয়ে গেছে। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর মৌজায় পদ্মার চরে গড়ে তোলা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এই বাগানটি এখন হুমকির মুখে।
পানির প্রবল স্রোতে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে, বেশ কিছু গাছ মারা গেছে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বাগনের কয়েকশ’ উপকারভোগী। তারপরও তারা আশা করছেন দ্রুত পানি সরে গেলে কিছুটা হলেও ক্ষতি কম হবে। বাগানে বসবাসকারী অনেক প্রাণী মারা গেছে, হুমকির মুখে পড়েছে অন্যান্য প্রাণীকুল। ৯৬ হেক্টর বাগানের ভিতর দিয়ে বন্যার পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় বাগানের ক্ষতি হচ্ছে। পানির কারণে বাগানের ৬ শতাধিক উপকারভোগী ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
রাজশাহীর ফরেস্ট রেঞ্জার সামসুল হুদা জানান, সরকারি লাখ লাখ টাকা খরচ করে বাগানটি বানানো হয়েছে। বাগানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় লোকজনসহ প্রায় ৬শ’ উপকারভোগীর কঠোর পরিশ্রম করে একে সফল বাগানে পরিণত করেছে। দ্রুত বন্যার পানি না সরলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
পদ্মার চরে গড়ে তোলা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এই বাগানটি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা না হলেও, পানি নেমে যাওয়ায় কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার ফরাদপুর মৌজায় পদ্মার চরের বনায়ন বাংলাদেশ সরকারের এক বিশাল সাফল্য। স্থানীয় জনগনকে নিয়ে ধূ ধূ বালুচরকে ঘন বনে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। নতুন করা বনসহ পুরো এলাকাটিই এখন পানির নিচে চলে গেছে। বন কর্মকর্তা জানান, এখানকার ফরেস্টার, ফরেস্ট রেঞ্জার এবং বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ এলাকাবাসী স্থানীয়ভাবে সবকিছুর মনিটরিং করছেন। দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমবে। মোট ক্ষতি নিরূপণের পর সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।