বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আরও সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে দুই দেশ। সফররত সৌদি উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আবদুল্লাহ আল আইশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে দু’ দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতকালে দু’দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাপূর্ণ সর্ম্পকে সন্তোষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সৌদি উপ-মন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। সৌদি উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তিনি উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই পবিত্র মসজিদ রক্ষায় সহযোগিতার অঙ্গীকার পূর্ণব্যক্ত করে বলেন, মক্কায় মসজিদ আল হারাম ও মদিনায় মসজিদে নববী রক্ষায় আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে সৌদি আরবে বিশেষ জায়গা রয়েছে। মাইন সুইপিং, সামরিক ব্যারাক নির্মাণ, এয়ারফিল্ডস ও বাংকার নির্মাণসহ সৌদি প্রতিরক্ষা অবকাঠামো নির্মাণে অংশ নিতে সৌদি অনুরোধ সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় সৌদি উপমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব তার সীমানা রক্ষা করতে চায়। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের বর্ডার গার্ড একাডেমি রয়েছে যার মাধ্যমে সৌদি বর্ডার গার্ডরা প্রশিক্ষণ নিতে পারে। সৌদি বিমান বাহিনীর উন্নয়নে বাংলাদেশের কাছে টেকনিক্যাল সহযোগিতা চান সৌদি উপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পাহাড়ি এলাকাসহ সারাদেশে সড়ক, ব্রিজ নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্মাণ কাজে বাংলাদেশে অনেক বিশেষজ্ঞ আছে, সৌদি আরব চাইলে তাদের ব্যবহার করতে পারে তাদের দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে। প্রধানমন্ত্রী সৌদি উপমন্ত্রীর মাধ্যমে সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল আজিজকে শুভেচ্ছা পাঠান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার অব আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আল মুতাইরি।