দখলকৃত হল পুনরুদ্ধার, নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর এবং নতুন আবাসিক হল নির্মাণের দাবিতে প্রায় ২৩ দিন আন্দোলন করেও দাবি আদায় না হওয়ায় আজও আন্দোলন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার শিক্ষার্থীরা পল্টন মোড় ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে বঙ্গভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার সকাল নয়টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হন। প্রথমে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তাঁরা রায়সাহেব বাজার মোড় ও তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেন। এতে নর্থসাউথ রোড, ইংলিশ রোড, নবাবপুর রোড, জনসন রোড ও ধোলাইখাল সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।এছাড়া, তাঁতীবাজার মোড় হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যান চলাচলও বন্ধ হয়ে পড়ে।
টানা ২দিনের ধর্মঘট শেষে আজ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করবেন এবং শনিবার দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।শনিবারের মধ্যে দাবী আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য যে,গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় অভিমুখে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে পুলিশের টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ, জলকামান ব্যবহার, রাবার বুটেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জের ফলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরো সংগঠিত হয়ে তীব্র আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, “১১ বছর থেকে অসহনীয় কষ্টে আমাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে,পূর্বের প্রতিটি আন্দোলনে আমাদের আশ্বাস দিয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উল্টো আমাদের উপর হামলা আর মিথ্যাচার করে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করেছেন বারবার ;কাজেই আমরা আমাদের মমতাময়ী মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়া মাত্র আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাস – পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবো।”
-জবি প্রতিনিধি