গুলশান হামলা মামলায় হাসনাতের জামিন নাকচগুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের জামিন নাকচ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান জামিন নাকচের আদেশ দেন।

গুলশান হামলার ঘটনায় ২২ আগস্ট হাসনাতকে দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রাখতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই দিন তাঁর পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক এ বিষয়ে আজ শুনানির দিন ধার্য করেন। শুনানি শেষে হাসনাতের জামিন নাকচ করা হয়। এদিকে, গুলশান হামলার ঘটনায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার তাহমিদ হাসিব খান কারাগারে আটক রয়েছেন। মামলার এজাহার থেকে জানানা যায়, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে জঙ্গিরা। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো অভিযানে জিম্মিদশার অবসান হয়।

তার আগেই ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ছাড়া অভিযানে মৃত্যু হয় সন্দেহভাজন পাঁচ জঙ্গির। আইএস ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাঁচ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করলেও পুলিশ এ ঘটনার জন্য দেশি জঙ্গি দল জেএমবিকে দায়ী করে আসছে। সেদিন অভিযান শেষে উদ্ধার ১৩ জনসহ ৩২ জনকে নেওয়া হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে। জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাই করে তাঁদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে হাসনাত ও তাহমিদকে ফিরে না পাওয়ার কথা জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

এর পর পুলিশ জানায়, ৩ আগস্ট রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাহমিদকে এবং গুলশানে আড়ংয়ের সামনে থেকে হাসনাতকে আটক করা হয়। নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে হাসনাতকে ২০১২ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ব্যবসায়ী শাহরিয়ার খানের ছেলে তাহমিদ কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। গুলশানের ঘটনার একদিন আগে দেশে আসেন তিনি। হামলার দিন ইফতারের পর বন্ধুদের সঙ্গে তিনি ওই রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন বলে দাবি পরিবারের।