হিলারির ১৫ হাজার ইমেইল প্রকাশ করবে এফবিআইহিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে প্রাপ্ত ত্রিশ হাজার ইমেইলের বাইরে অতিরিক্ত ১৫ হাজার ইমেইল প্রকাশ করবে এফবিআই। কিছু কিছু মেইল আছে যেগুলোর মাধ্যমে প্রমাণ হয় ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে চাঁদা দিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছেন অনেক ধনাঢ্য দেশি ও বিদেশি নাগরিক। এ বিষয়টি তদন্ত করতে বিচার বিভাগকে বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে হিলারি ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রাপ্তির অনেক আগে থেকেই তোপের মুখে আছেন। তার ব্যক্তিগত সার্ভার থেকে যে ত্রিশ হাজার ইমেইল লেখা ও পাঠানো হয়েছে সেগুলোর প্রাপক এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে তদন্ত করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এসবের আরো অতিরিক্ত ১৫ হাজার ইমেইল খতিয়ে দেখে নির্বাচনের আগে অক্টোবরের মাঝামাঝিতে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এসব ইমেইলের কোন কোনটির মাধ্যমে প্রমাণ হয় হিলারি তাদের পারিবারিক সংস্থা ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে চাঁদা দেয়ার জন্য দেশি বিদেশি নাগরিককে প্রভাবিত করছেন। এ কথা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর নতুন করে নড়েচড়ে বসেছেন হিলারির প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সোমবার ওহাইয়োর আকরোনে এক সমাবেশে ট্রাম্প সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিল ক্লিনটন এবং তার স্ত্রী হিলারির পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ক্লিনটন ফাউন্ডেশনকে চাঁদার নামে আর্থিক সুবিধা নেয়ার একটি ফন্দি বলে বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়টি তদন্তের জন্য বিচার বিভাগকে বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগেরও আহবান জানান ট্রাম্প। এখনও হিলারি ক্লিনটনকে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত না করায় মার্কিন বিচার বিভাগ এবং এফবিআই-এর সমালোচনা করেন তিনি।

ট্রাম্প বলেন, ‘ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিয়ে আর বিল ক্লিনটনের বক্তৃতার ফি দিয়ে দিলেই আপনি যা খুশি স্বার্থ আদায় করে নিতে পারবেন, পররাষ্ট্র বিভাগের চোখের সামনেই হয়েছে এসব।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর যে পরিকল্পনার কথ বলে আসছিলেন ট্রাম্প সে বিষয়ে তার সুর একটু পাল্টেছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প শিবিরের কর্মীরা। ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের ম্যানেজার কেলিয়ানে কনওয়েসেটি জানিয়েছেন ট্রাম্প এখনো বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি।

অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন ট্রাম্প তাকে এবং ওবামাকে যে আইএসের প্রতিষ্ঠাতা বলেছেন যা খুবই হাস্যকর তবে একইসঙ্গে ক্ষতিকরও। ট্রাম্পের বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে ট্রাম্পকে একজন খেপাটে প্রতিদ্বন্দ্বী বলেও মন্তব্য করেন হিলারি।