এখন চলছে হজের মৌসুম। মক্কার পাশাপাশি মদিনাতে হাজী সাহেবরা বেশ কয়েকদিন অবস্থান করবেন। মদিনা মোনাওয়ারা এসে হাজী সাহেবরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান, মসজিদ ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। ঘুরে দেখতে চান বিভিন্ন প্রদর্শনী ও জাদুঘর। তবে চেনা না থাকায় সে সব প্রদর্শনী ও জাদুঘর দেখা থেকে অনেকেই থেকে যান বঞ্চিত। তাই মসজিদে নববীর অাঙিনায় অবস্থিত কিছু প্রদর্শনী ও জাদুঘরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ এখানে উল্লেখ করা হবে। আজ থাকছে বৃহৎ, ঐতিহাসিক ও হরিণের চামড়ায় লিখিত কোরআনে কারিম প্রদর্শনীর কথা।হাজী সাহেবদেরকে কোরআনে কারিমের সঙ্গে পরিচিত করার এক চমৎকার উদ্যোগ। এর পরিচালনায় রয়েছে সামায়া হোল্ডিং কোম্পানি। মসজিদে নববীর দক্ষিণে পাঁচ নম্বর গেট সংলগ্ন এই প্রদর্শনী। অভ্যর্থনা বিভাগের পরেই রয়েছে কোরআন পরিচিতি। একটু সামনে বাড়লেই কোরআন একত্রিত করার ইতিহাস সম্বলিত কিছু প্রদর্শনী। এর পরেই রয়েছে এই প্রদর্শনীর মূল আকর্ষণ, কোরআনের পুরাতন পাণ্ডুলিপির সংরক্ষণাগার। এখানে রয়েছে হরিণের চামড়ায় লিখিত কোরআন, স্বর্ণের ওপর লিখিত কোরআন, মাত্র ষাট পৃষ্ঠায় লেখা কোরআন এবং প্রায় একহাজার বছর পূর্বের হাতে লিখিত কোরআন। একটু পরেই রয়েছে পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ কোরআন।
এর পর রয়েছে স্বর্নের কালি দিয়ে লেখা কোরআন। মুসহাফে উসমানির ফটোকপি। কোরআনে সংস্পর্শে এসে মানুষ কিভাবে পরিবর্তন হয় এর ওপর একটি ডকুমেন্টারি। রয়েছে বাদশাহ ফাহাদ কোরআন প্রিন্টিং কমপ্রেক্সের পরিচিতি। সবশেষে বিক্রয় কেন্দ্র এবং বিদায় কক্ষ।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা এবং বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হাজীদের জন্য খোলা থাকে। এখানে হাজী সাহেবদের সবকিছু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ-আলোচক রয়েছেন। সকালে বাংলা ভাষায় অনুবাদক হিসেবে আছি আমি মহিউদ্দীন ফারুকী এবং বিকেলে আছেন যাকারিয়্যা মাহমুদ।
লেখক: মহিউদ্দীন ফারুকী | শিক্ষার্থী, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়