মনিরুল ইসলাম।

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান হামলার ঘটনায় তামিম, মারজান ছাড়া আর সাত-আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।তিনি বলেন, শনাক্তদের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। এখনও তাদের অনেকের বিষয়ে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। পাবনার স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে- মারজানের পরিচয় শনাক্ত হওয়া গেছে। বেশ কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রামে দেখা গেছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য এসেছে।মারজানকে গ্রেফতার ও এ সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে তার বাবা এবং পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, বলেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।তামিম ও জিয়ার গ্রেফতার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তবে আমাদের ধারণা তারা ঢাকায় রয়েছেন।অপর প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, হাসনাত করিমের পূর্ব ইতিহাস, গুলশান হামলায় তার উপস্থিতি, মুভমেন্ট ও ফুটেজের ছবির ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।নব্য জেএমবিকে কারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কাছে খবর আছে-আগের মতো কোনো শক্তিশালী মহল থেকে তারা পৃষ্ঠোপোষকতা পাচ্ছে না।২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা নিয়ে মনিরুল বলেন, এ ঘটনায় অনেকের বিচার হয়েছে, জেলেও রয়েছে শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা।

জেএমবি আগের মতো সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী নয়। তবে জেএমবি ভেঙে নব্য জেএমবি গঠিত হয়েছে। নব্য জেএমবির সদস্যরাই সাম্প্রতিক হামলাগুলোর সঙ্গে জড়িত।ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল বলেন, নব্য জেএমবি নতুন সদস্য সংগ্রহ করে কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তারা যাতে সংগঠিত হতে না পারে সে বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।মনিরুল ইসলাম বলেন, এই সাত-আটজনের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। গুলশান হামলায় তাদের বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। তারা সবাই দেশের ভেতরেই আছে। তবে তাদের সুনির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়নি, ছবিও পাওয়া যায়নি।এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজমের প্রধান বলেন, পুলিশের তরফ থেকে গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মারজানের ছবি প্রকাশ করে প্রাথমিক সাফল্য পাওয়া গেছে। মারজানের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কিছুদিন আগে তাকে চট্টগ্রাম এলাকায় দেখা গিয়েছিল বলে পুলিশের ‘হ্যালো সিটি’ অ্যাপে মানুষ তথ্য দিয়েছে।

সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উঠে আসা তামিম চৌধুরী ও জিয়াউল হক গ্রেপ্তার আছেন কি নাÑজানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলার ঘটনায় শুধু হাসনাত রেজা করিম গ্রেপ্তার আছেন। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তামিম ও জিয়া কোথায় আছে বা তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না, তা জানা নেই।হাসনাত করিমের জড়িত থাকার বিষয়ে কীভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ? এমন প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, হাসনাত করিমের পূর্ব ইতিহাস, জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকা, ঘটনাস্থলে তাঁর উপস্থিতি, তাঁর কিছু ছবি দেখে এমনটা মনে হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া ও বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে থাকা তাহমিদ খান সম্পর্কে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাঁর সম্পর্কে এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁর দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চলছে।গুলশান হামলার ঘটনায় মারজানের দায়িত্ব কী ছিল? এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, মারজানকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তার করলে এ ব্যাপারে জানা যাবে।গুলশান হামলার ঘটনায় যেসব জঙ্গি মারা গেছে, তাদের সঙ্গে তামিমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগাযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ডিভাইসগুলো পরীক্ষাগারে আছে। এ ব্যাপারে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে যোগাযোগ সম্পর্কে জানা যাবে।

এদিকে, ঢাকার গুলশান হামলার অপারেশন কমান্ডার হিসেবে পুলিশ যে মারজানের নাম ও ছবি প্রকাশ করে সন্ধান চেয়েছে, তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁর নাম নুরুল ইসলাম, বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র।পরিবার বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন নুরুল ইসলাম ওরফে মারজান। এরপর বউ নিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ির কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না।পুলিশ বলছে, ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া সন্দেহভাজন নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের যে তালিকা দেওয়া হয়, তাতে নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানের নাম ছিল না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগ নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের তালিকা না দেওয়ায় এ বিপত্তি হয়েছে।মারজানের বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত শুক্রবার পুলিশের তথ্য পাওয়ার বিশেষ অ্যাপ হ্যালো সিটি’তে তাঁর ছবি প্রকাশ করে। এর তিন দিনের মাথায় গতকাল তাঁর পরিচয় পাওয়া গেল। ওই অ্যাপে তাঁকে গুলশান হামলার অপারেশন কমান্ডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর বয়স ২২ বা ২৩ বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান। মারজান গোয়েন্দা জালে পড়েছেন বলে ঢাকায় একাধিক সংস্থা আভাস দিলেও কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলছে না। এখন পর্যন্ত গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিরা ছাড়া পরিকল্পনাকারী বা সমন্বয়কারী হিসেবে দুজনের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন মারজান ও কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরী। যাঁদের ‘নব্য জেএমবির’ নেতা বলছে পুলিশ।ঢাকায় একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে মারজান এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিভিন্ন হামলা সমন্বয় করার দায়িত্ব পান। তাঁর সঙ্গে তামিম চৌধুরী ও অন্য জঙ্গিনেতাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বা রয়েছে।পাবনা অফিস জানায়, আফুরিয়া গ্রামের গেঞ্জির কারিগর নিজামউদ্দীনের ১০ ছেলেমেয়ের মধ্যে মারজান দ্বিতীয়। গত শনিবার গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশের পর প্রতিবেশী ও স্বজনেরা মারজানকে শনাক্ত করেন। এরপর এক কান দুই কান করে বিষয়টি শহরে ছড়ায়। এরই সূত্র ধরে খোঁজ মেলে মারজানের পরিবারের।

পাবনা শহর থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যেই আফুরিয়া গ্রাম। সোমবার বিকেলে গ্রামে গিয়ে জানা গেল, ইতিমধ্যে গ্রামবাসীর বেশির ভাগই মারজানের জঙ্গি হওয়ার তথ্য জেনে গেছে। গ্রামের মাঝামাঝি তাঁদের বাড়ি। বাড়ি বলতে পাশাপাশি টিনের তিনটি ঘরে। এই তিন ঘরের মধ্যে একটিতে মারজানের বাবা গেঞ্জি তৈরি করেন। বিকেলে বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মারজানের মা সালমা খাতুন।মারজানের মা বলেন, স্থানীয় আফরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পর মারজান পাবনা জেলা শহরের পুরাতন বাঁশবাজার আহলে হাদিস কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পাবনা আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে দাখিল ও আলিম পাস করেন। ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হন। গত জানুয়ারিতে শেষবার বাড়িতে আসেন এবং খালাতো বোন প্রিয়তিকে বিয়ে করেন। প্রিয়তিদের বাড়ি জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে। মেয়েটির বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। বিয়ের পরেই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছাড়েন মারজান। এরপর প্রায় আট মাস ধরে পরিবারের কাছে তিনি নিখোঁজ। কোনো যোগাযোগ করেননি।মারজানের বাবা নিজামউদ্দীন বলেন, তিনি বাড়িতে গেঞ্জি তৈরি করে দোকানে দোকানে সরবরাহ করেন। এ থেকে যা আয় হয়, তা দিয়েই সংসার চলে। আর্থিক টানাপোড়েন তাঁর দীর্ঘদিনের। তাই সন্তানদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। মারজান যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তখন তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চেয়েছিলেন। ধারকর্জ করে তিন হাজার টাকা দিতে পেরেছিলেন। এরপর মারজান আর টাকাপয়সা চাননি। তিনি বলেন, গত জানুয়ারির পর বাড়ির সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই তাঁর। গত শনিবার পত্রিকায় ছবি প্রকাশের পর মারজানের জঙ্গি হওয়ার খবর জানতে পারেন বলে দাবি করেন বাবা।
নিজামউদ্দীন বলেন, আমার ছেলে অপরাধ করলে তার যা শাস্তি হয় হবে। কিন্তু তাকে যারা জঙ্গি বানিয়েছে, আমি তাদেরও শাস্তি চাই।মারজানের মা সালমা খাতুনের দাবি, আমার বেটা কুনু খারাপ কাজ করতে পারে, তা আমার ভাবনাতিও আসে নাই। কুনুদিন সে কোনো অন্যায় কাজ করে নাই। কেন যে বেটা এই পথে গেল, সিডাই আমার প্রশ্ন।

প্রতিবেশীরা জানান, মারজান ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় ভালো ছিলেন। ধর্মকর্ম নিয়ে থাকতেন। পাড়া-মহল্লায় তাঁকে কখনো কোনো বাজে আড্ডায় দেখা যায়নি। তাঁর বড় ভাই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। অভাবের কারণে অন্য ভাইবোনেরাও খুব বেশি পড়ালেখা করতে পারেনি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর থেকে তাঁর মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। নিজেকে আড়াল করতে শুরু করেন।এ প্রসঙ্গে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির প্রথম আলোকে বলেন, আমরাও জানতে পেরেছি যে মারজানের বাড়ি পাবনাতে।চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থী রাতে বলেন, নুরুল ইসলাম ওরফে মারজানকে তাঁরা ফাহাদ নামে চিনতেন। প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার পর তাঁকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। তিনি আরবিতে কথা বলতে পারতেন। তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে তাঁদের ধারণা ছিল।

এদিকে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া সন্দেহভাজন ছয়জন নিখোঁজ শিক্ষার্থীর তালিকায় মারজানের নাম নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, নুরুল ইসলাম আমাদের শিক্ষার্থী কি না, আমরা এখনো নিশ্চিত নই। কয়েকটি বিভাগ এখনো অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা জমা দেয়নি। এর মধ্যে আরবি বিভাগ একটি। আমরা যে কয়টি বিভাগের তালিকা পেয়েছিলাম, সে কয়টি বিভাগের তালিকা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।ঢাকার গুলশান হামলায় জড়িত সন্দেহভাজন জঙ্গি নুরুল ইসলাম মারজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল বলে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মারজানের বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব নেই, কারণ দ্বিতীয় বর্ষের পর সে আর পুনঃভর্তি হয়নি। তার বন্ধুরা এখন চতুর্থ বর্ষে পড়ছে।চবি সূত্র জানায়, মারজান এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত ক্লাসে অংশ নেয়। তবে মারজান ২০১৫ সালের শুরুতে অনুষ্ঠিত আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিলেও সব পরীক্ষা শেষ না করেই উধাও হয়ে যায়। ওই বর্ষের মোট ১০টি বিষয়ের মধ্যে মৌখিক পরীক্ষাসহ ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল সে। সর্বশেষ ওই বছরের ১৪ ফেব্র“য়ারি ২০৫ নম্বর কোর্সের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উধাও হয়ে যায় মারজান। এরপর ক্যাম্পাসে তাকে আর দেখেনি কেউ।

উল্লেখ্য, অনিবার্য কারণবশত ৪টি কোর্সের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই ওই বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারজান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। তবে দ্বিতীয় বর্ষ পর্যন্ত ক্লাস করে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিল।