গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সংখ্যা এক কোটি পাঁচ লাখ বলে জানিয়েছে সরকার।প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত বছর কোরবানির সময় ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার পশু প্রয়োজন হয়েছিল। আর এবার কোরবানিযোগ্যে ৩৩ লাখ গরু ও মহিষ এবং ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।
ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যাবহার করে কোরবানির পশু মোটাতাজা করা হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করতে এবার সিটি করপোরেশনসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে পশুর হাটগুলোতে এক হাজার মেডিকেল টিম নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে রোববার কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।সভা শেষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় সাংবাদিকদের জানান, এবার গরুর হাটে এক হাজার ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে। প্রতিটি টিমে একজন পশু চিকিৎসক এবং দুজন সহকারী থাকবেন।
গতবছর পশুর হাটগুলোতে পর্যবেক্ষণ চালানোর জন্য ৮৯৪টি মেডিকেল টিম কাজ করেছিল বলে জানান তিনি। অজয় রায় বলেন, পশু চিকিৎসক দল হাটে একটি বুথে চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে অবস্থান করবে। পশুর শরীরে ক্ষতিকর উপাদান পরীক্ষাসহ কোনো অসুস্থ প্রাণী পেলে শনাক্ত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। মেডিকেল টিমগুলো কোরবানি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত তিন দিন পশুর হাটে অবস্থান করবে। উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি করে হাটে মেডিকেল টিম থাকবে।
আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মত সিটি করপোরেশনসহ দেশের জেলা-উপজেলায় কিছু কিছু হাটে পশু পরীক্ষায় চিকিৎসক দল নিয়োগ দেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
কোরবানি ঈদের আগে পশু মোটাতাজাকরণের ওষুধ বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানোরও সিদ্ধান্ত হয়।এছাড়া পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েড ও হরমোন ব্যবহারের কুফল তুলে ধরে এবং কোরবানিঅযোগ্য অসুস্থ ও ত্রুটিযুক্ত গবাদি পশু যাতে বিক্রি না হয় সেজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদে মসজিদে প্রচার চালানোরও সিদ্ধান্ত হয় সভায়।চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সুমলমানরা কোরবানির ঈদ উদযাপন করবে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে গবাদিপশুর সংখ্যা চার কোটি ৯০ লাখ। এর মধ্যে গরু ও মহিষ দুই কোটি ৩৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া দুই কোটি ৫৫ লাখ।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।