সরকারের সব অর্জন ৫ মিনিটে শেষ হতে পারে- কাদের

প্রচারের জন্য পোস্টার-ব্যানারে নিজের ছবির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। রোববার সচিবালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সচিবালয়ের সামনে ছাড়া গোটা নগরজুড়ে ১৫ আগস্ট উপলক্ষে লাগানো পোস্টার-ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মীর ছবি দেখা যায়। এভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করে আত্মপ্রচারে নিমজ্জিত হবেন না। এরা মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে কষ্ট দিচ্ছেন। এটা অন্যায়, এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি।অতীত স্মরণ করে এক সময়ের এই ছাত্রনেতা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর আশীর্বাদপুষ্ট অনেকের কাছেই গিয়েছি। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনে ডেকেছি। তাদের পাইনি। এমন অনেক সত্য আছে বলা যায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সততা ও সাহসের যে আদর্শ বঙ্গবন্ধু রেখে গেছেন, তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।তিনি বলেন, এখন ছবির রাজনীতি চলছে। এসব পোস্টার দেখে ভয় হয়। যখন আবার দুঃসময় নেমে আসবে তখন হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও এদের (পোস্টারে ছবি ছাপানো নেতাকর্মী) খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাড়াবাড়ি করে শোক দিবসের পবিত্রতা নষ্ট না করার আহ্বানও জানান সেতুমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বিলবোর্ড, টেলিভিশন, রেডিও সবখানে বঙ্গবন্ধু এক নিষিদ্ধ নাম ছিল। টুঙ্গিপাড়া ছিল নিষিদ্ধ। অনেক নিষেধের বেড়াজালে বঙ্গবন্ধুকে যারা আবদ্ধ করতে চেয়েছিল, একে একে তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক সচিব ও তথ্য কমিশনার এম আজিজুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ প্রমুখ।