১৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হবে প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলের ১১তম প্রযোজনা ‘বিবাদী সারগাম’ নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী। শিশির রহমান-এর রচনা ও নির্দেশনায় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের আলোয় বাংলার তিন বীর সেনানী বিনয়, বাদল, দীনেশ-এর কলকাতা রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নাটকের নাম “বিবাদী সারগাম”। ‘বিবাদী সারগাম’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- রামিজ রাজু, মাইনুল তাওহীদ, বন্ধু তুহিন, রিগ্যান সোহাগ রতœ, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, লিটু রায়, আহমেদ সুজন, চৈতালী চৈতী, রাহুল, নিরঞ্জন নীরু, সুজন গুপ্ত, প্রীতি, মাহমুদুল হাসান, সোহাগ রহমান, স্বাধীন আরুশ, নুপুর, মিঠুন, উর্মিল, মৌসুমী মৌ, পরশ ও বাঁধন সরকার।
নাট্য প্রসঙ্গ:
মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যে সব বিপ্লবী প্রাণ বলিদান করেছেন গুটি কয়েকজনকে বাদ দিলে আর সবাইকে ভুলে গিয়েছে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা। এমন কি বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনেকেই জানেন না বিপ্লবীদের মধ্যে কাদের উঠতে হয়েছিল ফাঁসীর মঞ্চে? আর কারাই বা কারাগারে আত্ম বিসর্জন করেছিলেন অথবা ইংরেজ সরকারের প্রশাসনের অত্যাচারে বিনা বিচারে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হয়েছিল। অবশ্য দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ যারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন তারা কিছু ব্যক্তিগণ স্বার্থ চানও নি। ওরা দিতে এসেছিল কিছু নিতে নয়।
বিনয়, বাদল, দীনেশ এর কথা অভিবিভক্ত বাংলার অধিকাংশই ভোলেননি। তবে স্বাধীন বাংলাদেশের অনেকেই এই তিন অকুতোভয় বীরের নাম জানেন না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আবার অনেক প্রবীণ দেশ প্রেমিক সচেতন সাধারণ এই মহান বীর সেনানি বিনয়, বাদল, দীনেশের নাম জানলেও তাদের সমগ্র বিপ্লবী জীবনের কথা অনেকেই জানেন না। সেই সংগে বলে রাখা দরকার বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের কথা ভাল ভাবে না জানলে বিনয়, বাদল, দীনেশের কথাও সঠিকভাবে জানা যায়না। ঘটনার বিন্যাসের প্রয়োজনে বিনয়, বাদল ও দীনেশকে তুলে ধরতে গিয়ে সমসাময়িক ঘটনাগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। বিনয়, বাদল, দীনেশ এর মধ্যে বিনয় ও বাদল আত্মহত্যা করেছিল আর দীনেশকে উঠতে হয়েছিল ফাঁসির মঞ্চে। দেশ, মাটি, মানুষ ও মায়ের ভাষাকে ভালোবেসে যারা নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন একাতরে সেই সব অকুতোভয় বীর সেনানিদের জন্য আমাদের বিন¤্র শ্রদ্ধা।