২০১৯ সালে মেট্রোরেল চালু-কাদেরসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির জামবো আকারের কমিটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে বছরের সেরা তামাশা।রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নির্বাহী কমিটি দিয়েছে।বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা নিজেদের দলের গঠনতন্ত্র মানে না, তারাই বারবার দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে। এই অগণতান্ত্রিক কমিটিই বিএনপির গণতন্ত্রের নমুনা।সম্মেলনের সাড়ে চার মাস পর গতকাল শনিবার দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদেও বলেন, জাম্বো জেট সাইজের কমিটি দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করাটা দুঃস্বপ্নের নামান্তর।এই জাম্বো জেট সাইজের কমিটি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সাথে বছরের সেরা তামাশা।কাউন্সিলের সাড়ে ৪ মাস পর শনিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ৫০২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, ভাইস চেয়ারম্যান, সম্পাদক ম-লী ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণার পর দেখা যায়, দলের বিভিন্ন পদে থাকা নেতাদের পরিবারের সদস্যরা ডজনের বেশি পদ পেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গতকাল বলেছেন, বিএনপির ৫০২ সদস্যের কমিটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধার করবে। বিএনপিকে প্রশ্ন করতে চাই, সর্বোচ্চ ৪৪৮ সদস্যের কমিটি কীভাবে ৫০২ সদস্যের হল? যারা নিজের দলে গণতন্ত্র বা গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে এ রকম কমিটি ঘোষণা করে, তারা বাংলাদেশের সংবিধানও বার বার লঙ্ঘন করেছে।অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি দিয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন কাদের।খালেদা জিয়ার জঙ্গিবাদবিরোধী ঐক্য গড়ার আহ্বানের জবাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ১৫ অগাস্ট আমরা শোক পালন করব, আর আপনি জন্মের আনন্দে কেক কাটবেন, তাহলে ঐক্য হবে কীভাবে?যারা আমার পিতার হত্যাকারীদের পুর্নবাসন করেছে, যারা আমার বঙ্গমাতার রক্তের সাথে বেঈমানী করেছে। একুশে অগাস্টে গ্রেনেড হামলা করে বাংলাদেশের ইতিহাসকে উল্টে দিতে চেয়েছে, কীভাবে তাদের সাথে ঐক্য করব, বলেন কাদের।

বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো.সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।