13933284_1729190290668125_156323414_n (1)

আজ ৮ আগস্ট ২০১৬ রবিবার, সকাল ১১.৩০টায় গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে বিইআরসি ভবনের সামনে ‘বছর না ঘুরতেই গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সরকারি পাঁয়তারার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ভবনের ভেতর গণশুনানী চলাকালীন বিইআরসি ভবনের সামনে গণসংহতি আন্দোলন এই সমাবেশ আয়োজন করে। ঢাকা মহনগরের সমন্বয়ক মনিরউদ্দিন পাপ্পুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের প্রধান সমন্বকারী জননেতা জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম, ফিরোজ আহমেদ, বাচ্চু ভূ্ইঁয়া ও তাসলিমা আখ্তার এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নারী নেতা জান্নাতুল তানিয়া, শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম, ছাত্রনেতা সৈকত মল্লিক প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি মানেই জনগণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে জীবনযাত্রার প্রতিটি পর্যায়ে বাড়িভাড়া, যাতায়াত ভাড়াসহ ব্যয় বৃদ্ধি ঘটানো। এর ফলে একদিকে লুণ্ঠনকারীদের পাহাড়সমান মুনাফা অন্যদিকে জনগণের ভোগান্তি তৈরি হয়। বক্তাগণ বলেন, অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব ও উদ্যোগ জনগণ মানে না এবং সমন্বয়ের নামে হোক আর যে ছুতাতেই হোক ‘এর আগের দাম বাড়ানোর এক বছর পার না করেই-এই দামবৃদ্ধি সরকারেরই ঘোষিত নীতির পরিপন্থী’। নেতৃবৃন্দ বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, ‘জনগণ জানতে চায় কাদের স্বার্থে এই দামবৃদ্ধির পাঁয়তারা ?’ বক্তাগণ আরো বলেন, বিইআরসি একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তার দায়িত্ব ও কর্তব্য; সরকারের হুকুম পালন করা নয়। অথচ আমরা বারবার দেখে আসছি বিইআরসি জনগণের স্বার্থ রক্ষা না করে সরকারেরই তাঁবেদারী করছে-যে সরকার অনির্বাচিত এবং কোনভাবেই জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে না। মূলত নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি নেয়ার ঘোষণা এবং ফলে সরকারি দলের এলপিজি ব্যবসায়ীরা ও কোম্পানি তাদের নিজেদের আগাম লুণ্ঠনের ব্যবস্থা করতেই গণশুনানীর এই তড়িঘড়ি আয়োজন করেছে।

সমাবেশে জননেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকার একনাগারে ৮ বছর ক্ষমতায় থেকেও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ও বাপেক্স-এর সক্ষমতা বাড়ায় নি। একদিকে গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিয়ে পরিকল্পনা করেনি এবং নতুন নতুন সম্ভাবনাময় এলাকা নিয়েও আয়োজন নাই অন্যদিকে কনোকোফিলিপসের সাথে চুক্তি করে সমুদ্রক্ষেত্রে কোনো ফলাফল/আউটপুট আসেনি বাংলাদেশে। তাই দামবৃদ্ধি মানে জনগণের সাথে প্রতারণা, উন্নয়নের নামে নিজেদের লুটপাট। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দাবি জানান, অবিলম্বে দামবৃদ্ধির সকল প্রক্রিয়া বাতিল করুন, জনস্বার্থবিরোধী নীতি বাতিল করুন, জনস্বার্থে গ্যাস নিয়ে উৎপাদনী নীতি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করুন, বিদেশী কোম্পানির সাথে করা অধীনতামূলক ও দেশবিরোধী উৎপাদন অংশীদারী চুক্তি বাতিল করুন, সুন্দরবনধ্বংসী রামপাল চুক্তি বাতিল করে জ্বালানি খাতকে শক্তিশালী করুন।