জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ ও অন্যতম সহযোগী তাহমিদের সঙ্গে হলি আর্টিসানের ছাদে হাসনাতের শলাপরামর্শ (বাঁয়ে)। ব্রিফিং শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন হাসনাত। এ সময় সশস্ত্র অবস্থায় ছিল জঙ্গিরা (গোল চিহ্নিত)
জঙ্গি রোহান ইমতিয়াজ ও অন্যতম সহযোগী তাহমিদের সঙ্গে হলি আর্টিসানের ছাদে হাসনাতের শলাপরামর্শ (বাঁয়ে)। ব্রিফিং শেষে বেরিয়ে যাচ্ছেন হাসনাত। এ সময় সশস্ত্র অবস্থায় ছিল জঙ্গিরা (গোল চিহ্নিত)

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্টুরেন্টে ‍চালানো নৃশংস হামলায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে গোয়েন্দাদের কাছে। গোয়েন্দারা এখন প্রায় নিশ্চিত যে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম গুলশান হামলার অন্যতম কুশীলব, নাটের গুরু। এমনকি পুরো অপারেশন যেন নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হয় সে জন্য তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলা পরিচালনা ও মনিটরিং করেন। হামলার আপডেট ও বিভিন্ন ছবি আদান প্রদান করেন দেশ ও দেশের বাইরে।

আর তার এসব কাজে সহযোগিতা করেন কানাডা প্রবাসী ছাত্র তাহমিদ খান। এমনকি নিজ হাতে অস্ত্র চালিয়ে তাহমিদও এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয় বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার শুরু থেকেই এই দুইজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসলেও সম্প্রতি পাওয়া দুটি স্থিরচিত্র ও হাসনাত করিমের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে এসব চাঞ্চল্যকর ক্লু বেরিয়ে এসেছে।

জানা গেছে, প্রভাবশালী ও স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হওয়ায় একটি পক্ষ শুরু থেকেই হাসনাত করিম ও তাহমিদ খানকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছিলো। যে কারণে প্রথম দিকে বিভ্রান্তিতে পড়েন তদন্তকারীরা। তবে সর্বশেষ পাওয়া স্টিল, ফুটেজ এবং হাসনাত ও তাহমিদকে রিমান্ডে নেয়ার পর শনিবার তদন্তকারী সংস্থা হাসনাত করিম ও তাহমিদের জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ পায়। আজ-কালের মধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জাতির সামনে পরিস্কার করা হবে বলে জানা গেছে বিশ্বস্ত সূত্রে।