জেএমবিগুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলা এবং কল্যাণপুরে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানের পর এবার জেএমবির এক বড় হুজুরকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। গত ৫ বছর ধরে শায়খ আবুল কাশেম নামের এই আধ্যাত্মিক নেতা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন। গাইবান্ধায় তার অবস্থান শনাক্ত করা গেলেও ওই জঙ্গি নেতা ঠিক কোথায় আছেন তা এখনও নিশ্চিত নন পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

জেএমবির আটক কয়েকজন নেতা তাদের জানিয়েছেন যে, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা তাকে বড় হুজুর বলে চিনলেও দু’একজন ছাড়া কেউ তাকে দেখেনি। তবে তার নির্দেশেই তারা পরিচালিত। কাউন্টার টেরোরিজম এবং ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের একটি বিশেষ দল গত দু’দিন ধরে গাইবান্ধা ও বগুড়ায় অবস্থান করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড় হুজুরের অবস্থান জানার চেষ্টা করছে। আবুল কাশেমকে খুঁজে না পেলেও গাইবান্ধায় তার অবস্থান মোটামুটি নিশ্চিত বলে ঢাকার গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন তারা। তবে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার আশরাফুল এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি।

কাউন্টার টেরোরিজম এবং ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান, ডিআইজি মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আবুল কাশেম জেএমবির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন বলে তাদের কাছে তথ্য আছে। সব সময় আড়ালে থাকা এই জেএমবি নেতা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে সে লক্ষ্যে দেশের সকল ইমিগ্রেশন পয়েন্টে আবুল কাশেম সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আস্তানায় গিয়ে শায়খ আবুল কাশেমের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কানাডা প্রবাসী তামিম চৌধুরী। এছাড়া গাইবান্ধার সাঘাটা, বগুড়ার সারিয়াকান্দি এবং দিনাজপুরের রাণীর বন্দরে আঞ্চলিক জঙ্গি নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন শায়খ আবুল কাশেম।