তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘দরিদ্রদের জন্য কর্মসূচি টিআর ও কাবিখা-র বরাদ্দের ৮০ শতাংশই চুরি হয়ে যায়। ৩০০ টন বরাদ্দ হলে ১৫০ টন যায় এমপির পকেটে। বাকি ১৫০ টনের সিংহভাগ যায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের পকেটে। আমরা চোখ বন্ধ করে এই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছি।’
রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পিকেএসএফ ভবনে ‘গ্লোবাল সিটিজেনস ফোরাম অন সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট সামিট-২০১৬’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘সব এমপিই হয়তো চুরি করেন না। কিন্তু বেশিরভাগ এমপিই এ কাজটি করেন। এ জন্য উন্নয়ন বাজেটের অর্থ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে দেয়া উচিত। এতে উন্নয়ন বৈষম্য কমে আসবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সুশাসন ও শান্তি না থাকলে প্রবৃদ্ধি করা কঠিন। পরিবেশের সাথে সমন্বয় করে উন্নয়ন নিশ্চত করতে হবে। এ মুহূর্তে দেশের জন্য দুটি চ্যালেঞ্জ, টেকসই ও অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র।’ তিনি বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব না। দারিদ্র হয়তো দূর হবে কিন্তু বৈষম্য থেকেই যাবে।’
সরকার টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্রের বিকাশ ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ ও মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন ইনু। পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুরুল ইসলাম, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রমুখ।