128872_172

ইসলামিক স্টেট বা আইএস নয়,বাংলাদেশের মূল জঙ্গি জামায়াত-শিবির বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আইএস ও তালেবানের নামে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। এ দেশে যেসব জঙ্গি ধরা পড়েছে, দেখা গেছে তাঁরা আগে জামায়াত করত। ১৯৭১ সালে তাঁরা যে পদ্ধতিতে হত্যা করত, এখনো সেই পদ্ধতিতেই হত্যা চালাচ্ছে।রোববার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের আয়োজনে ‘জঙ্গিবাদ, হত্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসলাম শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে কামরুল বলেন, ইসলামের ব্যাপারে ঠিকভাবে জানে না বলেই ছেলে-মেয়েরা বিভ্রান্ত হচ্ছে। তাই তাদের ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা জানানো উচিত। এ ছাড়া ইংরেজি, মাদ্রাসা ও বাংলা মাধ্যমের শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় করে একটি অভিন্ন শিক্ষাপদ্ধতি সরকার চালু করবে বলেও জানান তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, জঙ্গিরা জংলির চেয়েও অধম। জাহান্নামেও এদের জায়গা হবে না। তবে বাংলাদেশে আইএস নেই বলে দাবি করেন তিনি। শাহজাহান খান বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় সাম্প্রতিক হামলা করেছে জামায়াত। ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ও কুপিয়ে মানুষ হত্যা করা তাঁদের কাজ।মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরি বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের সামনে ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা একসঙ্গে চলে না। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সফিকুর রহমান বলেন, ইসলামের নামে সন্ত্রাস বাংলাদেশে নতুন হলেও বিশ্বে নতুন নয়। এ দেশে এই সন্ত্রাসের উৎস হচ্ছে জামায়াত। জঙ্গিবাদ রোধে শিক্ষানীতি পরিবর্তন করতে হবে। প্রকৃত জ্ঞান আহরণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। গোলটেবিল বৈঠকে সংসদ সদস্য র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে নিয়ে যাওয়া যায়নি। ইসলামের অনেক ভুল ব্যাখ্যা প্রচলিত আছে এবং সন্ত্রাসীরা সেগুলোই ব্যবহার করছে। জনসচেতনতার মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে জঙ্গিবাদ ঠেকাতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষে মানুষে বৈষম্য এখনো কমেনি। এই বৈষম্য হতাশা তৈরি করে। আর হতাশা জঙ্গিবাদে উৎসাহ জোগায়। তাই জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ করতে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। এ গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল হক। এ ছাড়া সংগঠনটির মহাসচিব নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদক/জিএম/ফোকাস বাংলা/১৮২০ ঘ.