ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করলেন নবাগত মিজানুর রহমান। বৃহস্পতিবার বিদীয় পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছ থেকে দ্বায়িত্ব বুঝে নেন। দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জেলা ব্যাপী আশার আলো সঞ্চার হয়েছে নবাগত পুলিশ সুপারকে নিয়ে। কারণ তিনি যখন দায়িত্ব নিলেন তার আগেই জেলায় কিছু লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে। ৪টি হত্যাকান্ডে আইএস দায় স্বীকার করে আবার দুইটির প্রত্যাহারও করেছে। সেবায়েত ও পুরোহিত হত্যার খবর বিশ্ব ব্যাপী ঝড় তুলেছে।
গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলাকারীদের দুইজন ঝিনাইদহে থাকার কথাও মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। শহরে সন্ধ্যার পর লোকজন কমে যাচ্ছে। লোকজন না থাকায় ব্যবসা বানিজ্যে ভাটা পড়েছে। সেই চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য শহরে আর নেই। সর্বক্ষন কেমন একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে শহরে। এ সব কারণে আতংকিত জেলাবাসির মধ্যে নতুন পুলিশ সুপার আশা জাগানিয়া কর্মকান্ড ছড়িয়ে জেলাকে আরো আলোকিত করবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্তি করেছেন নাগারিকরা।
ইতিমধ্যে তিনি জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েও শহরের বিভিন্ন স্থানে চেক পোষ্ট পরিদর্শন করে নজীর সৃষ্টি করেছেন। জেলার বিভিন্ন থানায় যাচ্ছেন তিনি পরিদর্শন করতে। ঢাকার গাজীপুর থেকে বদলী হয়ে আসো এই পুলিশ সুপারের ঝুলিতে রয়েছে বিএসসি, বিএ, বিএসএস, বিকম, বিবিএ, বিএড, ইকন (অনার্স) এম,এসইন এজি (প্রোডাকশন ইকন) ডিগ্রি।
২২ তম বিসিএস এর মাধ্যমে ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। পিরোজপুর জেলায় প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি নিজের কর্মদক্ষতা দিয়ে অর্জন করেন সুনাম। দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন টাঙ্গাইল, নারায়নগঞ্জ, পুলিশ হেড কোয়াটার, বাগেরহাট, বরিশাল, রাজবাড়ি ও মাগুড়া জেলায়। সর্বশেষ গাজীপুর জেলা থেকে অনেকটা সুখ্যাতি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় যোগদান করেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শরিয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। কর্ম জীবনে সদা প্রাণচঞ্চল এই ব্যক্তিকে পুলিশ সুপার হিসেবে পেয়ে ঝিনাইদহে কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের মাঝে অন্য ধরণের আমেজ ফিরে এসেছে। যোগদানকৃত পুলিশ সুপার জেলা থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন ও মাদক মুক্ত জেলা গঠনে সবার সহায়তা কামনা করেছেন।
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি