জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে এক সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ভারতজঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সচিবালয়ে আজ বুধবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ-ভারতের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে একই কথা জানান সাংবাদিকদের।মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত একাত্তরের যুদ্ধ থেকে পুরোনো বন্ধু। মাঝখানে অনেক চড়াই-উতরাই গিয়েছে। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হয়েছে।’

‘আশা করছি ভারত ও বাংলাদেশ আরও গভীর সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এই উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে। উন্নয়নের চাকা সচল হবে এবং সন্ত্রাসবাদ দমন করবে। আমরা মনে করি সন্ত্রাসবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা উপমহাদেশের সমস্যা, দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা’, বলেন হাসানুল হক ইনু।সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করার জন্য দিল্লি ও ঢাকার ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা দরকার জানিয়ে ইনু বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। এ ছাড়াও উন্নয়ন, গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যমের প্রসারে আমরা পরস্পর পরস্পরের অভিজ্ঞতা বিনিময় করব। সবাই সবাইকে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শান্তির উপমহাদেশ গড়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করব।’

হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আগামী দিনের উন্নয়নের রূপরেখা ও এর প্রতিবন্ধকতা, সন্ত্রাসী অপতৎপরতা মোকাবিলা এবং এ বিষয়গুলোতে দু’দেশের সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ভারতের কাছে কোনো ধরনের সহযোগিতা চেয়েছে বা চাইবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আমাদের বহু রকমের চুক্তি আছে। মনে রাখবেন, তথ্যের আদান-প্রদানটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ ‘আমরা মনে করি সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে কাজ করব’ বলেন তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের কোনো বিশেষ পর্যবেক্ষণ আছে কি না, জানতে চাইলে ইনু বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বিশ্বের সমস্যা, দক্ষিণ এশিয়ার সমস্যা, বাংলাদেশের সমস্যা, ভারতের সমস্যা। এ সমস্যা আমরা যৌথভাবে মোকাবিলা করব।’ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। এ জন্য সাম্প্রতিককালে মন্ত্রিসভা বৈঠকে চুক্তি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রীর দফতর ও ভারতীয় দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।