ময়মনসিংহে জাতীয় সংসদের দুটি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।এর মধ্যে ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং। তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৪ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা খাতুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৮ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৫ দশমিক ৭ শতাংশ। হালুয়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেলালুজ্জামান সরকার এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
অন্য দিকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ এক লাখ ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম জাতীয় পার্টির নির্বাচন বর্জনকারী প্রার্থী সামসুজ্জামান জামাল পেয়েছেন চার হাজার ৩৭২ ভোট। ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ। গৌরীপুরের ইউএনও মর্জিনা আকতার এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ ভোটগ্রহণ চলাকালে অনিয়ম ও জোর করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ দুই প্রার্থী ভোট বর্জন করেন। তাঁরা হলেন গৌরীপুরে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামসুজ্জামান খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফেজ আজিজুল হক। দুপুর ২টার দিকে তাঁরা ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) ও ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে উপনির্বাচনে আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গৌরীপুরের অন্য প্রার্থীরা হলেন আবদুল মতিন (ন্যাপ) ও মাওলানা আবু তাহের খান (ইসলামী ঐক্যজোট)। হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ায় অপর প্রার্থী ছিলেন সোহরাব উদ্দিন (জাপা)।
গত ২ মে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) সাবেক সাংসদ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এবং ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনের এমপি সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন গত ১১ মে মারা যাওয়ায় আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দুই লাখ ২৬ হাজার ২৩৫ ভোট। মহিলা ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৩৪৩ জন। ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া) আসনে ভোটার তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৯৪ ভোট। মহিলা ভোটার এক লাখ ৯১ হাজার ৭২ জন।