লক্ষ্মীপুরে হঠাৎ টর্নেডোর আঘাতে অর্ধ-শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও ২’শতাদিক গাছ-পালা পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে ব্যাপ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর, পূর্ব নন্দনপুর গ্রাম এবং দালাল বাজার এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানে। এতে নারী ও শিশুসহ ২০জন আহত হয়। দালাল বাজার খোয়া সাগর দিঘি আনা আঘাতে টর্নেডো প্রায় ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছে। এদিকে ঘুর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিদুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে হঠাৎ করে পেছানো কালো ধোঁয়ার মতো কি যেনো খোয়া সাগর দিঘির মাঝখান থেকে বাতাসের সাথে উপড়ে উঠেছে। এক পর্যায়ে দ্রুত গতিতে বাতাস ও কালো ধোঁয়া উঠে ওই এলাকাগুলোর অন্তত ২০০টি গাছ বিধ্বস্ত এবং অর্ধশতাধীক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা আরো জানান, টর্নেডোর সময় ভয়ে পূর্ব নন্দনপুর গ্রামের স্কুল ছাত্রী মরিয়ম (১৩), লাকী আক্তার (২২), এবং ছোট শিশু ও সিএনজি অটো-রিকশা চালক ফারুক হোসেনসহ (২৮) ২০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে চিকিৎসার জন্য অচেতন অবস্থায় মরিয়ম আক্তারসহ ৩জনকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় দালাল বাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সীমান পাচীর ভেঙ্গে পড়ে।
দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম জানান, টর্নেডোর আঘাতে ১৬টি ঘর-বাড়ি ও বেশ কিছু স্থাপনা বিধ্বস্ত খবর পেয়েছি। এসময় বেশ কিছু ছোট-বড় গাছ উপড়ে পড়েছে ও কয়েকজন আহত হয়।দালাল বাজার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সোহেল সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, টর্নেডোর আঘাতে এলাকার প্রায় শতাধিক গাছ, দোকানঘরসহ ৫/৭টি বাড়িÑঘর লন্ডভন্ড হয়। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি, বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশি¬ষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারী ভাবে আর্থিক সহযোগীতা করা হবে।