ইউএস-বাংলাঅব্যাহত এগিয়ে চলার পথে দুই বছর পূর্ণ করে তৃতীয় বর্ষে পড়ছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ১৭ জুলাই ২০১৬ (রোববার) এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে যশোরে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনা করে এই যাত্রা শুরু করে। আর মাত্র দুই বছরেই তা হয়ে ওঠে দেশের অন্যতম বেসরকারী বিমান সংস্থা। এই সময়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে বিভিন্ন গন্তব্যে চৌদ্দ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট অত্যন্ত সফলভাবে পরিচালনা করেছে। আর এই সংস্থায় কর্মসংস্থান হয়েছে ৮০০ জনেরও অধিক বেশি কর্মীর।

“ফ্লাই ফাস্ট-ফ্লাই সেফ” এই স্লোগান নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর সেভাবেই এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটে উল্লেখযোগ্য মার্কেট শেয়ারের অংশীদার হয়ে উঠেছে ইউএস-বাংলা। বিমান পরিবহন খাতে ইতিমধ্যে ইউএস-বাংলা’র নিজস্ব ব্র্যান্ড ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।

ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ঢাকা-কাঠমুন্ডু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা। আর তৃতীয় বর্ষে এসে এই ঘোষণা দিচ্ছে যে, শিগগিরই কলকাতা, পারো, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, দোহা, দাম্মাম, দুবাই ও কুনমিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

১৭ জুলাই ২০১৪ তারিখে ৭৬ আসন বিশিষ্ট দুইটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট দিয়ে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা। আর বর্তমানে এর বহরে রয়েছে তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট। তৃতীয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট এবং আরো একটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্র্যাফট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এয়ারক্র্যাফটগুলি এ বছরের আগস্ট মাসে ইউএস-বাংলা’র বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে এবং সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সেগুলো বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে।

গত দুই বছরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অভাবনীয় সফলতার জন্য বাংলাদেশ মনিটর কর্তৃক ডমেস্টিক সেক্টরে “বেস্ট এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার-২০১৫” অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ট্রাভেলার্স ফোরাম ২০১৪ ও ২০১৫ পরপর এই দু’বছর “বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে।

যাত্রা শুরুর পর থেকেই অন-টাইম ফ্লাইট অপারেশন, আন্তর্জাতিক মানের কেবিন সার্ভিস দিয়ে যাত্রী সাধারণের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য এয়ারলাইন্স হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ইউএস-বাংলা। কর্তৃপক্ষ জানায়, ইউএস-বাংলা’র সঠিক সময়ে ফ্লাইট পরিচালনার রেকর্ড শতকরা ৯৮.৭ ভাগ।

বাংলাদেশের বিমান পরিবহনখাতে ইউএস-বাংলাই একমাত্র কোম্পানি যা আইএসও ৯০০১:২০০৮ সার্টিফায়েড এয়ারলাইন্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ডিভিশন অব কর্পোরেশন এর একমাত্র তালিকাভূক্ত বাংলাদেশি এয়ারলাইন কোম্পানি এই ইউএস-বাংলা। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে। ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম “স্কাই স্টার”, ডোর স্টেপস সার্র্ভিস প্রোগ্রামসহ আরো অনেক সেবাধর্মী ও সময়োপযোগী সার্ভিস এর আওতাভূক্ত।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘণ মূহুর্তে বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা যেকোন ধরনের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আমাদের বিমান বহরে আরও নতুন আধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত করে চলেছি। বহরে অধিক সংখ্যক উড়োজাহাজ ও নতুন নতুন গন্তব্য সম্প্রসারনের লক্ষ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কাজ করে যাচ্ছে।”

দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে ইউএস-বাংলার সকলেই আনন্দিত ও গর্বিত, বলেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রাক্কালে ১৬ জুলাই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যাত্রী সাধারন, শুভাকাঙ্খী, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ, সকল সংবাদ মাধ্যমকে সহযোগিতার জন্য অভিনন্দন জানায়।