12-07-16-PM_Video Confernce-9

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তির ও সৌহার্দ্যের ধর্ম। যারা ইসলামের নাম করে মানুষ হত্যা করছে, তারা আমাদের পবিত্র ধর্মের বদনাম করছে দেশে-বিদেশে। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের উত্থান হতে দেব না। বাংলাদেশ জঙ্গিদের কাছে জিম্মি হবে সেটা হতে দেব না।

মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমাম, ব্যবসায়ী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের আগে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বহু ঘটনা ঘটে গেছ। এ ধরনের ঘটনা আর আমরা চাই না। আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে অর্থনীতির উন্নয়ন। আওয়ামী লীগ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চায়। দেশবাসীর সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই আমরা উন্নয়ন করতে পারছি। অনেকেই উন্নয়ন চায় না। উন্নয়ন থামাতে অনেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাবইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যেন দেশে শান্তি ফিরে আসে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মে আছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। কিন্তু তারা রমজানে তারাবি না পড়ে, ঈদের দিন ঈদের নামাজ না পড়ে মানুষ মারছে। ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করতে চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি চাই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আমরা।’

জঙ্গি হামলায় উচ্চশিক্ষিতদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা উচ্চশিক্ষিত, ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করছে, সেই ছেলে-মেয়েরা কীভাবে ধর্মান্ধ হচ্ছে, নিখোঁজ হয়ে যায় পরিবার থেকে? অথচ প্রশ্ন আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর। এ নিয়ে রিপোর্ট দিতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো। কিন্তু এখন তারা কোথায় গেলো। এ বিষয়ে তারা রিপোর্ট দিতে পারেনি।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ সবাই যেন নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সচেতন করতে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিষয়ে বিশেষ করে মা-বাবা সজাগ থাকতে হবে। ছেলে মেয়েরা কোথায় যায়, কার সঙ্গে মিশে তার খোঁজখবর নেবেন। তাদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরাও খোঁজ-খবর রাখবেন।’

প্রত্যেক ইউনিয়ন, থানায় জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড চালানো হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই কমিটিগুলো কারও জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকলে তা খুঁজে বের করবে। কমিটির মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।’