সরকারের সব অর্জন ৫ মিনিটে শেষ হতে পারে- কাদেরআগামী পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) পর্যন্ত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বিদেশ যাত্রাসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে ঈদ‍ুল ফিতর পরবর্তী মন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত কোনো ছুটি নেবেন না। আমি কাউকে বিদেশ যেতে দেবো না। দেশে অনেক কাজ পড়ে আছে। কাজ করেন। আমি আপনাদের কাছে কমিশন চাই না। পার্সেন্টেজ চাই না। কেবল কাজ চাই।

গত এক বছরে একদিনও ছুটি নেননি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি মেট্রোরেলের কাজের জন্য জাইকার সঙ্গে বৈঠক করতে জাপান গিয়েছিলাম। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনা করতে ব্যাংককে গিয়েছিলাম। আর গিয়েছিলাম ম্যানিলায় আমাদের উন্নয়ন অংশীদার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে চুক্তি করতে। গত সাত বছরে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে যাইনি। অতএব কাজ করুন। এবারের ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের জন্য কর্মকর্তাদের গাফিলতিকে দোষারোপ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, এতো টাকা খরচ করে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক চার লেন বানিয়ে কী লাভ হয়েছে? একটু বৃষ্টি হলেই চার লেন খানা-খন্দকে ভরে যায়। এ অবস্থার জন্য ‍দায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সচিবকে নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পে যারা ভালো করেছেন তাদের পুরস্কার প্রাপ্য। যারা ব্যর্থ হয়েছেন তারা লঘু ও গুরু শাস্তি পাবেন।

তিনি উল্লেখ করেন, মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করা, থ্রি হুইলার ও ইজিবাইক মহাসড়কে নিষিদ্ধ শতভাগ বাস্তবায়ন করা এবং পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা মন্ত্রণালয়ের নতুন চ্যালেঞ্জ। ঈদে সরকারকে দেওয়া কথা গার্মেন্টস মালিকরা রাখেননি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তারা ৪ ও ৫ জুলাই একইসঙ্গে সব গার্মেন্টস ছুটি দিয়ে রাস্তায় জনজট সৃষ্টি করেছেন।

মন্ত্রী ট্রাক মালিকদেরও সমালোচনা করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, তারাও কথা না রেখে ঈদে রাস্তায় ট্রাক ও লরি চালিয়ে যানজট সৃষ্টি করেছেন। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দাবি করেন, একমাত্র ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়া সারাদেশের অন্য সড়ক-মহাসড়কে ঈদে যানচলাচল স্বাভাবিক ছিল।