02-07-16-Shootings Blasts At Gulshan Restaurant-112

গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জিম্মিদের মধ্যে থাকা তিন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর দিয়েছে তাদের পরিবার।এর মধ্যে একজন ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের নাতি ফারাজ হোসেন। অন্য দুজনের একজন ঢাকার একটি আর্ট গ্যালারির সাবেক প্রধান ইশরাত আখন্দ, অন্য জন ল্যাভেন্ডারের মালিকের নাতনী অবিন্তা কবীর। শনিবার সকালে জিম্মিদের উদ্ধারে কমান্ডো অভিযানের পর দুপুরে আইএসপিআরের সংবাদ সম্মেলনে শুধু ২০ জন বিদেশির মৃত্যুর তথ্যই জানানো হয়।

তবে ফারাজ, অবিন্তা ও ইশরাতের পরিবার তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।লতিফুর রহমানের মেয়ে সিমিন হোসেনের দুই ছেলের মধ্যে ফারাজ সবার ছোট।ট্রান্সকম কনজ্যুমার প্রডাক্টসের বিপণন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ তাহনুন ইশতিয়াক রিয়াদ বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে ফারাজ ছিল ছোট। অত্যন্ত চঞ্চল ছিল ছেলেটি। ফারাজ ট্রান্সকম গ্রুপে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজও করেছিল।শুক্রবার রাতে নিজে গাড়ি চালিয়ে গুলশানের ওই ক্যাফেতে ফারাজ গিয়েছিলেন বলে জানান রিয়াদ।ডেএক্সওয়াই ইন্টারন্যাশনালের মানব সম্পদ বিভাগের পরিচালক ইশরাত ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান ক্রিয়েটিভসে ছিলেন। তিনি গ্রামীণফোন ও ওয়েস্টিন হোটেলেও কাজ করেছিলেন।অবিন্তা কবিরের দাদা মনজুর মোরশেদ সুপার স্টোর ল্যাভেন্ডারের মালিক।

এদিকে, রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান শনিবার সন্ধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আছেন, তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। অবশ্য এর আগে দুপুরে সেনা সদর দপ্তরে আইএসপিআরের এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেছিলেন, নিহত ২০ জনের সবাই বিদেশি নাগরিক। এর মধ্যে পাঁচজন নারী ছিলেন।শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় কয়েকজন বন্দুকধারী ঢুকে দেশি ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। ১২ ঘণ্টার এই জিম্মি ঘটনায় ২০ দেশি-বিদেশি নাগরিক, ছয় সন্ত্রাসী, দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন পুলিশ সদস্য।