পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুটি বিকল্প দেওয়া হয়। হয় পুলিশ বাহিনী থেকে সরে যেতে হবে, নয় হত্যা মামলার আসামি হয়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। বাবুল আক্তার সরে যাওয়ার সম্মতি জানালে সেদিনই পদত্যাগপত্রে সই নেওয়া হয়। খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার বাবুল আক্তারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় ডিআইজি পদমর্যাদার তিনজন কর্মকর্তা তাকে জানান, তাদের কাছে মিতু হত্যার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। এরপর বাবুলকে দুটি পথ বেছে নিতে বলা হয়, একটি হচ্ছে পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষায় পদত্যাগ করা আর অন্যটি হচ্ছে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। বাবুল আক্তার পদত্যাগ করার সম্মতি দিলে পদত্যাগপত্রে তার সই নেওয়া হয়। তবে এটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সদর দফতরে জমা পড়েনি।
বাবুলের পরিবারের একজন জানান, বাবুল এর সঙ্গে জড়িত নন, তার সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি এখনো বিশ্বাস করেন যে বাবুল এ হত্যায় জড়িত নন। হত্যায় বাবুলের জড়িত থাকার বিষয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তার সবই অপ্রাসঙ্গিক। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে শ্বশুর বাড়ি খিলগাঁও মেরাদিয়া ১২০ নম্বর বাসা থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবুল আক্তারের শ্বশুরও পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ থেকে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারা হলেন- মুসা, রাশেদ, নবী, শাজাহান ও কালু। গত ৫ জুন মিতু হত্যাকাণ্ডে এরা সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ধারণা।
ওয়াসিম ও আনোয়ারকে গত শনিবার গ্রেফতারের পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার বলেছিলেন, জিইসি মোড়ের কাছে মিতু হত্যাকাণ্ডে সাত-আটজন অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে ওয়াসিম গুলি চালান, আনোয়ার অনুসরণকারী ছিলেন। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ওই হামলার ‘অস্ত্র জোগানদাতা’ এহতেশামুল হক ভোলা ও মনির হোসেন নামে দুজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।