ব্রেক্সিটের সমর্থন করায় রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সমালোচনা করেছেন ডেমোক্রেটিক হিলারি ক্লিনটন। তিনি বলেন, এই সময়ে ‘বোমা ফাটানো মন্তব্য’ ভালোর চেয়ে আরো ক্ষতি করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ ভোট দেয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে এর প্রশংসা করেন। তিনি গত শুক্রবার স্কটল্যান্ড সফরকালে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মনে করেন, ব্রেক্সিট একটা ‘বিরাট ঘটনা’।
হিলারি রোববার যুক্তরাষ্ট্রের মেয়রদের সম্মেলনে বক্তৃতাকালে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি বলেন, নগর নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্র শাসন করবেন তারা তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা স্বার্থকে সামনে রেখে আমেরিকার জনগণের স্বার্থের কথা বলছেন। ট্রাম্প তার ঢেলে সাজানো ট্রাম্প টার্নবেরি গলফ কোর্স পুনরায় উদ্বোধনের জন্য স্কটল্যান্ড ছিলেন। হিলারি বলেন, আমেরিকার এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা অনুধাবন করবেন যে এই বিশৃঙ্খল সময়ে বোমা ফাটানো মন্তব্য আরো গোলযোগ ডেকে আনতে পারে। তিনি বলেন, আর এজন্য আমেরিকার এখন ধীরস্থির ও অভিজ্ঞ নেতা প্রয়োজন।
হিলারি বলেন, ‘আমরা ব্রিটেনে অনেক হতাশাগ্রস্ত মানুষ দেখেছি। আমরা জানি, এখানেও হতাশাগ্রস্ত লোকজন রয়েছে।’ মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের ইন্ডিয়ানাপোলিসে জড়ো হওয়া মেয়রদের তিনি বলেন, ইউরোপের প্রতি আমেরিকার অঙ্গীকার নিয়ে কারো বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। কারো ক্রেমলিনের মত স্বৈরশাসক এবং স্কটিশ গলফ কোর্সে থাকা কারো প্রেসিডেন্ট হওয়া উচিত নয়। রোববার নতুন জনমত জরিপে দখা গেছে, জনসমর্থনের দিক থেকে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ওয়াশিংটন পোস্ট-এবিসি নিউজের জরিপ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ শতাংশ ভোটার হিলারিকে এবং ৩৯ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল/এনবিসি নিউজের জরিপ বলছে, ৪৬ শতাংশ হিলারিকে ও ৪১ শতাংশ ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার পক্ষে।