বন্দুকযুদ্ধে ফাহিমের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত চেয়ে নোটিশ

মাদারীপুরে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত ফাহিমের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে েেসামবার দুপুরে জনস্বার্থে এ নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু।স্বরাষ্ট্র সচিব,আইজিপি,পুলিশ সুপার (মাদারীপুর জেলা) এবং ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে রিমান্ডে থাকা ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষক একটি নিউজ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। মাদারীপুর সরকারি নাজিম উদ্দীন কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীর উপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার গোলাম ফায়জুল্লাহ ফাহিম পুলিশের সঙ্গেবন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় গত ১৮জুন শনিবার সকালে। তার আগের দিন ১৭ জুন শুক্রবার ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর পরদিনেই ফাহিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। মিয়ারচর ঘটনাস্থলে ধান ও পাটক্ষেতের মাঝখানে ফায়জুল্লার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় বলে জানা যায়। তার হাতে পেছনের দিকে হ্যান্ডকাপ পরানো ছিল। পুলিশ হেফাজতে থাকা রিমান্ডের আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী।

ফাহিম আদৌ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন, না কি প্রকৃত ঘটনা ও দোষীদের নাম আড়াল করতে তাকে হত্যা করা হয়েছে- সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে এই নোটিসে। ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কেন গঠন করা হবে না- তাও লিখিতভাবে জানাতে অনুরোধ করেছেন নোটিসদাতা এস এম জুলফিকার আলী জুনু।স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকে তার ওই নোটিশ পাঠানো হয়।১৫ দিনের মধ্যে নোটিসের লিখিত জবাব না পেলে মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে’ হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুনু হুঁশিয়ার করেছেন।

গত ১৫ জুন মাদারীপুরে এক কলেজ শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় ঘটনাস্থল থেকে ফাহিমকে আটক করে পুলিশে দেয় জনতা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।রিমান্ডে নেওয়ার পরদিন সকালে মাদারীপুরের একটি চরে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফাহিম নিহত হন বলে পুলিশের ভাষ্য।ঢাকার উত্তরার কলেজ ছাত্র ফাহিম ‘ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী’ ছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শিক্ষক হত্যাচেষ্টার সময় তার ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে ‘গুপ্তহত্যায়’ কারা জড়িত তা স্পষ্ট হয়েছে।অন্যদিকে গোলাম ফাইজুল্লাহ ফাহিমকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পৃক্ততার’ অভিযোগ তুলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবী জুলফিকার আলী জুনু তার নোটিসে বলেন, ফাহিম নিহত হওয়ার ঘটনায় নাটকীয়তা ও রহস্য রয়েছে।বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনা মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইন, হেফাজত আইন ও উচ্চ আদালত কর্তৃক রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত গাইড লাইন ও আদেশের পরিপন্থি।