কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দী

কুড়িগ্রাম জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদরসহ ৬টি উপজেলার অন্তত ৭০ হাজার মানুষ।উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও দুধকুমারের অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে গত ২৪ ঘন্টায় পানি বিপদসীমার অতিক্রম করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ধরলার পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ সময়ে তিস্তায় ৩৫ দুধকুমারে ২৩ ও ধরলায় ২৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। পানির প্রবল তোড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। গত ৩ দিনে প্রায় ১০০ পরিবার ভিটেমাটি হারিয়েছে।সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাংটুরঘাট এলাকায় শনিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়ায় সংলগ্ন ১০টি গ্রাম প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ রোববার কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে গাছপালা ও বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোত্তালিব হোসেন জানান,বন্যায় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থ পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেয়া হচ্ছে। ফলে কোন খাদ্য সংকটের আশঙ্কা নেই।