সুস্থ হয়ে উঠছে মোহাম্মদ আলী

ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অপূর্ণাঙ্গ জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হওয়ার পর এখন পূর্ণাঙ্গ শিশু মোহাম্মদ আলী চিকিৎসকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুস্থ হয়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক-নার্সদের নিবিড় পরিচর্যায় ভালো রয়েছে সাড়ে তিনমাস বয়সী শিশু মোহাম্মদ আলী।

আজ বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের ৮-তলায় হাই ডিপেনডেন্সি এন্ড পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিট-২-এ চিকিৎসাধীন মোহাম্মদ আলীকে ট্রায়াল ব্রেস্ট ফিডিং করানো হচ্ছে। অর্থাৎ অল্প অল্প করে মায়ের বুকের দুধ পান করানো হচ্ছে। শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাসসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ জানান, পোস্ট অপারেটিভ রুমে ভিজিটরদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। ভিজিটরদের সংস্পর্শে রোগীরা সংক্রমণের শিকার হয়। তাই পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে চিকিৎসক, নার্স ছাড়া যাতে কোনো ভিজিটর প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের ৯ তলায় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্সে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় আড়াই ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে। অপূর্ণাঙ্গ এ জোড়া শিশুর অস্ত্রোপচার লক্ষ্যে গঠিত ১৮ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম অস্ত্রোপচারে অংশ নেন। ১৮ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিমের নেতৃত্বে ছিলেন পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন। আর অপূর্ণাঙ্গ এ জোড়া শিশুর চিকিৎসার শুরু থেকেই সামগ্রিক বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ সব ধরণের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু সার্জারি বিভাগ অতীতেও এ ধরনের জটিল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ২০০৮ সালে বহুল আলোচিত বন্যা ও বর্ষাকে মাত্র তিন মাস বয়সে শিশু সার্জারি বিভাগের তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল হকের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টাব্যাপী সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়েছিল। তবে বর্ষার হৃদযন্ত্র বন্যার উপরে নির্ভরশীল থাকায় আলাদা করার পর বর্ষাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। বন্যার গত ২৪ মার্চ আট বছর পূর্ণ করেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু সার্জারি বিভাগে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরও একটি শিশুর পেটের ভেতর থেকে তিনটি অসম্পূর্ণ শিশু বা প্যারাসাইটিক ট্রিপলেট বের করে আনা হয় বা অপসারণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।