বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে আলীর শরীর থেকে আলাদা হল অপূর্ণাঙ্গ ভাই

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শিশু মোহাম্মদ আলীর শরীর থেকে আলাদা করা হয়েছে ‘অপূর্ণাঙ্গ ভাইকে’। জন্মের ৩ মাস ১০ দিন পর পূর্ণাঙ্গ শিশুর দেহ থেকে অপূর্ণাঙ্গ শিশুর দেহ আলাদা করা হল।সোমবার (২০ জুন) সকালে হাসপাতালের কেবিন ব্লকের নবম তলায় আধুনিক অপারেশন থিয়েটারে সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয় এই জোড়া শিশুকে। ৯টা ৫০ মিনিটে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। শেষ হয় ১০টা ৩৪ মিনিটে। সভফভাবে অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির জ্ঞান ফিরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। পুরো অপারেশনে অধ্যাপক রুহুল আমিনের সঙ্গে ১৮ সদস্যের মেডিকেল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।অস্ত্রোপচারের পুরো প্রক্রিয়াটি বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের জন্য বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে।

সফল অস্ত্রোপচার শেষে অপারেশন থিয়েটারে জোড়া শিশুর খোঁজ নিতে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক কামরুল হাসান খান। কিছুসময় ভিতরে অবস্থান করে অধ্যাপক রুহুল আমিনসহ ১৮ সদস্যের টিম নিয়ে বাইরে আসেন তিনি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত। অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ শিশু থেকে অপূর্ণাঙ্গ শিশুকে আলাদা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে।

অস্ত্রোপচার টিমের প্রধান পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. রুহল আমিন বলেন, ‘আমরা আরও একটি জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। শিশুটি সুস্থ আছে। তাকে ৪৮ ঘণ্টা অবজারবেশনে রাখা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ৭ মার্চ বাগেরহাট রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নে অপূর্ণাঙ্গ শিশুটির জন্ম হয়। এরপর ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু মো. আলীর বাবার নাম জাকারিয়া ও মা হীরামনি। আলী তাদের চতুর্থ সন্তান।