আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ভালো করার পেছনে অনেক অবদান রেখেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। গত নভেম্বর মাঠে গড়িয়েছিল বিপিএলের তৃতীয় আসর। তৃতীয় আসর সুষ্ঠভাবে শেষ হওয়ায় আগামী ৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে বিপিএলের চতুর্থ আসর। রোববার ক্রিকেট বোর্ডের সভা শেষে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।২০১২ সালে প্রথমবারের মত ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ। ২০১২ এবং ২০১৩ সালে পরপর দুবার বিপিএল আয়োজিত হলেও নানা সমস্যার কারণে ২০১৪ সালে আর মাঠে গড়ায়নি বিপিএল। কিন্তু সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে আয়োজিত হয় বিপিএলের তৃতীয় আসর।
প্রথম দু’বার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস চ্যাম্পিয়ন হলেও ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তাদের ফ্রাঞ্চাইজি বাতিল করে বিসিবি। ঢাকার নতুন ফ্রাঞ্চাইজকে নিয়ে ২০১৫ সাল ৬ দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত হয় বিপিএল। যেখানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তবে ওই আসরে নতুন দল সিলেট সুপার স্টারসের কাছে টাকা পায় বিসিবি। কয়েকবার তাদেরকে বকেয়া টাকা দেওয়ার বাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বিসিবির বকেয়া প্রায় তিন থেকে চার কোটি টাকা পরিশোধ করেনি। তাই সিলেট সুপার স্টারর্সের বিপক্ষে আইনি ব্যাবস্থা নিতে যাচ্ছে বিসিবি।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘সিলেট সুপার স্টারর্স যে ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমরা টাকা তুলতে যাওয়ায় ওরা ঝামেলা করেছে। এছাড়া তাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করার ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা সেভাবে আমাদের সাড়া দিচ্ছে না। তাই তাদের (সিলেট সুপার স্টারস) বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। এ বিষয়ে আজকের মিটিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।