19-06-16-Brahmanbaria_Transit Started-3

ট্রানজিট ব্যবহার করে এবারই প্রথম মাশুল পরিশোধের মাধ্যমে এক হাজার চার মেট্রিক টন লৌহজাত ভারতীয় পণ্যের মধ্য প্রথম চালানে ৮৪ টন পণ্য ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় গেছে।বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল চুক্তির আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে তিনটি ট্রাক ও একটি ট্রেইলরের মাধ্যমে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য আগরতলায় নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৯ জুন) বিকেল পাঁচটা ১২ মিনিটে প্রথম চালান নিয়ে বাংলাদেশি ট্রেইলর ও ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরের শুন্যরেখা অতিক্রম করে।এর কিছুসময় আগে ট্রানজিট পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশী আনবিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আখাউড়া ও আশুগঞ্জ বন্দরের ইনচার্জ এসকে মাকসুদ হোসেন মাসুদের কাছ থেকে সেদেশের (ভারতের) পরিবহন প্রতিষ্ঠান ডারসেল লজিস্টিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সুজিত রায় কাগজপত্র বুঝে নেন।

এর আগে কাগজপত্রের জটিলতা, পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক নির্ধারণ না হওয়া এবং শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশের ছুটির দিন থাকায় পণ্যগুলো আশুগঞ্জ নৌ-বন্দরেই আটকা ছিল।আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, তিনটি ট্রাকের প্রতিটিতে ১৮ টন করে ৫৪ টন এবং একটি ট্রেইলরে ৩০ টন টিএমটি বার আগরতলায় নেওয়া হয়েছে। এবারের চালান থেকেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফি পেয়েছে।

তিনি জানান, এসব পণ্য থেকে শুধুমাত্র কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতি মেট্রিক টনে ১৩০ টাকা করে পাবে। সে হিসেবে মোট এক লাখ ৩০ হাজার ৫৭৪ টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

ট্রানজিট পণ্যের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারি তাকজিল খলিফা কাজল জানান, এমভি নিউটেক-৬ জাহাজের মোট এক হাজার চার টন লৌহজাত পণ্য পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের (২০১৫) ৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত (পিআইডব্লিউটিটি) চুক্তির অংশ হিসেবে এই পণ্যের প্রথম চালান এটি। গত বুধবার (১৫ জুন) বিকেলে ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা এ জাহাজটি আশুগঞ্জ বন্দরে নোঙর করে। এই পণ্য পরিবহনে টন প্রতি ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল পেয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া অন্যান্য চার্জসহ এই জাহাজ থেকে বাংলাদেশ সর্বমোট পাবে দুই লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ টাকা।

এবারের আগে ‘বিশেষ মানবিক কারণ’ দেখিয়ে দুই দফায় বিনা মাশুলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক পদার্থ ও খাদ্য পণ্য (চাল) ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। এবারই প্রথম মাশুল দিয়ে লৌহজাত পণ্য নেওয়া হলো।