2016-06-17_6_12084লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যানকন-৭ (ইউনিফিল) যোগদানের জন্য নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্যের প্রথম গ্রুপ বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। আগামী ২২ জুন দ্বিতীয় গ্রুপে আরও ১৩৫ জন নৌ সদস্য লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে। এই সদস্যরা লেবাননে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনীর জাহাজ ‘আলী হায়দার’ ও ‘নির্মূলে’ যোগদান করবেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

বিমানবন্দর ত্যাগের সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এ কে এম এম শেরাফুল্লাহ লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে নৌবাহিনী জাহাজ ‘আলী হায়দার’ ও ‘নির্মূল’ ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে মোতায়েন রয়েছে।  জাহাজ দুটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় এই জাহাজ দুটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর গোয়েন্দা নজরদারী, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করছে।

আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, ভূ-মধ্যসাগরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে টহল প্রদানের মাধ্যমে এই জাহাজ দুটি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নৌবাহিনী তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আইএসপিআর জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১০ সালে প্রথমবারের মত ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের আওতায় নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ‘ওসমান’ ও ‘মধুমতি’ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে।  চার বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৪ সালে ওই জাহাজ দুটির প্রতিস্থাপক হিসেবে বানৌজা ‘আলী হায়দার’ ও ‘নির্মূল’ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অত্যন্ত সফলতার সাথে অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব পালন করে আসছে। লেবানন ছাড়াও দক্ষিণ সুদানের নদী পথে নিরাপত্তা প্রদানসহ বেসামরিক ব্যক্তিবর্গকে চিকিৎসা ও জরুরী পরিস্থিতিতে ডুবুরি সরবরাহ কাজে নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট-২ নিয়োজিত রয়েছে।