গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গরম তেল নিক্ষেপ করে এক নারী পোশাক কর্মী ও তার শিশু সন্তানের শরীর ঝলসে দিয়েছে প্রতিবেশী অপর এক নারী। এসময় এঘটনার প্রতিবাদ করায় অপর এক ব্যাক্তিকেও গরম তেল দিয়ে ঝলসে দিয়েছে ওই নারী। ঝলসে যাওয়া মা ও তার সন্তানসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় ওই নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ, এলাকাবাসি ও আহতদের স্বজনরা জানায়, রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন মানিকবেড়া এলাকার মাজেদুল ইসলাম তার স্ত্রী ইসমত আরা বেগম (২২) এবং তাদের তিন বছরের শিশু কন্যা মাজেদা আক্তার মায়াকে নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুতের সাত্তার গেইট এলাকার শওকত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। ইসমত আরা তার স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় এফবি ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানায় চাকুরী করে। একই বাড়িতে ভাড়া থাকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার তাজনগর এলাকার আসাদ মিয়া ও তার স্ত্রী আমেনা বেগম(৩৫)। আসাদ ও আমেনা স্থানীয় ফারইস্ট এ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার কর্মী। বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশু সন্তান মায়াকে কোলে নিয়ে ঘরের বারান্দার পাশে বৃষ্টির পানি দিয়ে হেটে যাচ্ছিল ইসমত আরা। এসময় কয়েক ফোটা পানি আমেনার শরীরে ছিটকে যায়। এঘটনায় দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমেনা বেগম রান্নায় বসানো চূলো থেকে কড়াইয়ের গরম তেল ইসমতারা ও তার সন্তানের শরীরে নিক্ষেপ করে। এতে ইসমতারার ডান হাত এবং তার কোলে থাকা শিশু সন্তানের বুক, কান, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। এসময় এঘটনার প্রতিবাদ করলে অপর এক ব্যাক্তিকেও গরম তেল দিয়ে ঝলসে দেয় ওই নারী। স্থানীয়রা গরম তেলে ঝলসে যাওয়া মা ও সন্তানসহ ওই তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার এসআই মোঃ মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে গরম তেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে আমেনা বেগমকে আটক করেছে। তবে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।