11-06-16-PM_AL Working Commitee Meeting at Gonobhaban-9

শেখ হাসিনাপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে কাবা শরিফ ও মসজিদে নববি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাঠানো হবে। তবে সৌদির নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি অবহিত করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।মন্ত্রিসভার বৈঠক জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় এবং ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন ২০১৬-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। সচিব বলেন, এত দিন দেশে বিএনসিসির কোনো আইনি কাঠামো ছিল না। নতুন এই আইনের আওতায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর অধিদপ্তর গঠন করা হবে। এর প্রধান হবেন মহাপরিচালক এবং প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উপদেষ্টা কমিটি থাকবে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) পরিচালনায় একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর আইন ২০১৬’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই আইনের অধীনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ঢাকায় বিএনসিসি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হবে।এই অধিদপ্তরের দায়িত্বে একজন মহাপরিচালক থাকবেন জানিয়ে শফিউল বলেন, প্রতিরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটিও থাকবে।

প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, অর্থ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; সেনা, নৌ ও বিমান সদর; মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে একজন করে প্রতিনিধি এই উপদেষ্টা কমিটিতে রাখা হবে।বিএনসিসির মহাপরিচালক হবেন এই উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব।নির্ধারিত যোগ্যতা থাকা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ও সিনিয়র ডিভিশনের ক্যাডেট হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন বলেও শফিউল আলম জানান।

তিনি বলেন, ১৯৫০ সালের একটি সার্কুলারের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বিএনসিসি পরিচালিত হচ্ছিল, কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন ছিল না। একে আইনি কাঠামো দিতেই নতুন আইন করা হচ্ছে।গত বছর ২৮ ডিসেম্বর বিএনসিসি আইনের খসড়ায় মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেয়। শফিউল সেদিন বলেছিলেন, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের পরিধি বিস্তৃত হওয়ায় একে আইনি কাঠামোতে এনে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে আইন করা হচ্ছে।

বিএনসিসিতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সংযুক্ত বা প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা যদি শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেন, তবে নিজ বাহিনীর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও বিধান রাখা হয়েছে এই খসড়ায়।আর বিএনসিসিতে যুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কাজ করলে অধিদপ্তর বা কোরের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের কোনো সদস্য শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করলে কোরের বিধি অনুযায়ী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। আর বিএনসিসিতে যুক্ত জনপ্রশাসনের কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সেদিন জানিয়েছিলেন।