05-06-16-SP Wife Murder In Ctg-15আলোচিত পুলিশ কর্মকতা এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের সাতদিনের মাথায় পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়েছে। এতে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসীনসহ আরো তিনজন চৌকস পুলিশ কর্মকতা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার হোসেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সমালোচনার মুখে পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে আটক সাবেক ‘শিবির কর্মী’ আবু নছরকে ৩০ লাখ টাকা নিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

এ হত্যাকাণ্ডে গত ৬ জুন মামলা করেন এসপি বাবুল আক্তার। এরপর থেকেই বিভিন্ন পক্ষ থেকে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের জন্য বিভিন্ন পক্ষকে দায়ী করছেন। প্রথমে বাবুল আক্তারের জঙ্গি বিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ততায় জঙ্গিরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে বলা হলেও পরে ঢাকা থেকে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দায়ী করছেন বিদেশি চক্রকে। আবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতারা দাবি করছেন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার। গত এক সপ্তাহে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন কালো রঙের মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। উদঘাটন হয়নি ঘটনার প্রকৃত ‘রহস্য’। এরপর ঘটনার উচ্চতর তদন্তের স্বার্থে এ বিশেষ অনুসন্ধানী কমিটি গঠন করা হল।

গত ৫ জুন সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।