মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে অনুসরণ করছে ঘাতক
চট্টগ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় শাহজামান ওরফে রবিন (২৮) নামে আরেক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, এই যুবকই হত্যাকাণ্ডের ‘মূল পরিকল্পনাকারী’। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি)  নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান কমিশনার ইকবাল বাহার।
তিনি জানান, শনিবার সকালে রবিন নামে এই যুবককে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্ণা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার মো. শাহজাহানের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিন জানিয়েছেন তার লেখাপড়া অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত, বর্তমানে বেকার। সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘মিতু হত্যার সময় ঘটনাস্থলে মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হয়ে যে যুবক হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় আমরা সন্দেহ করছি রবিনই সে যুবক। তাকে আটক করা হয়েছে।  জিজ্ঞাসাবাদে এ ব্যাপারে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।’ এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মিতু হত্যার ঘটনায় আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখার নিন্দা জানানো বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একজন নারীকে হত্যার কারণে হয়তো তারা নিন্দা জানিয়ে থাকতে পারেন অথবা এ নিন্দা জানানোর মধ্যদিয়ে তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন।’
এর আগে গত ৭ জুন রাতে হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম ফরহাদাবাদ থেকে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাবেক শিবির নেতা আবু নছর গুন্নুকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন কালো রঙের মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে মাইক্রোবাসের চালককেও।
গত ৫ জুন সকাল ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ছেলেকে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অতি সম্প্রতি বাবুল আক্তারের পদোন্নতির পর ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।