ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ১০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু

জাতিসংঘ বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আফ্রিকা থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল হ্রাসে নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে।জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানায়, সমুদ্রে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে সমুদ্রের পানিতে ডুবে রেকর্ড পরিমাণ দুই হাজার ৮১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এবারই প্রথম ইউরোপ সবচেয়ে ভয়াবহ অভিবাসন সংকটের মুখে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান প্রাণহানির কারণে এ সংকট মোকাবেলায় ত্বরিৎ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিমেম্যান্স বলেন, ‘আমরা প্রাণহানির এই মাত্রা বরদাশত করতে পারি না। এটা বন্ধে আমাদের সবকিছু করা প্রয়োজন।নতুন প্রস্তাবে ইথিওপিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, মালি, সেনেগাল, জর্ডান ও লেবাননের মত যেসব দেশ থেকে অধিক অভিবাসন প্রত্যাশী আসছে সেসব দেশে বেসরকারি খাতে কমপক্ষে ৬ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ইইউ তহবিল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।ইইউ ইউরোপে বৈধভাবে আসা অভিজ্ঞ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য ‘নীল কার্ড’ প্রদানের পরিকল্পনার কথাও প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘ জানায়, ২০১৫ সালে সমুদ্রে মোট ৩ হাজার ৭৭১ এবং ২০১৪ সালে সাড়ে তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।ইউএনএইচসিআর মুখপাত্র অ্যাড্রিন এডওয়ার্ড বলেন, ২০১৪ সালে ভূমধ্যাসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।