বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজচট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগেসেখানকার সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে মামলার এজাহারের কপি তালিকাভুক্ত করে বাঁশখালী থানার পুলিশ।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে মুঠোফোনে জানান, মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সচিব তাজুল ইসলাম ও উপজেলা ওলামা লীগের নেতা (পদবি উল্লেখ নেই) মাওলানা আখতার।ওসি আলমগীর জানান, সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টিসহ কয়েকটি অভিযোগে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৪২ ও ৫০৬ ধারায় মামলাটি করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। নির্বাচন কমিশনের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে পাঠানো মামলাটির এই কপিবৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা হাতে পান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়।এক প্রশ্নের জবাবে ওসি আলমগীর জানান, নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

বাঁশখালীর সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পছন্দমতো নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ না দেওয়ায় গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ডেকে নেন। তখন ইউএনও তাঁর কার্যালয়ে ছিলেন না। পরে ওই কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে সাংসদ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এরপর ওই দিন বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে বাঁশখালীর আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় সব কটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন স্থগিত করে ইসি।