অন্যায়ভাবে কর চাপালে তা আদায় হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
শুক্রবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সহসভাপতি শফিউল ইসলামসহ পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।পুরো বাজেট বিশ্লেষণ করে ৭ বা ৮ জুন এফবিসিসিআই বিস্তারিত মতামত দেবে বলে জানান মাতলুব আহমাদ।আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাজেটের আকার বড় হলে রাজস্ব আদায়ের চাপও বেশি হয়। তবে আমরা সাধ্যের মধ্যে থাকতে চাই।প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্বছরের বাজেট অনেকের হাসি কেড়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেছেন, বাজেট ঘোষণার পর ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি নেই।
এ সময় তিনি বলেন, এবারের বাজেটের আকার অনেক বড় হয়েছে।সেই সঙ্গে বেড়েছে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা। এ কারণে ব্যবসায়ীসহ সকলের করভার বাড়বে। কারণ বিশাল এ রাজস্ব বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সকল অর্থ আমাদেরকেই দিতে হবে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, সরকারকে মনে রাখতে হবে এ দেশ, দেশের উন্নয়ন ও ব্যবসা সব কিছুই আমাদের। তাই দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চায়। তবে তা যৌক্তিক হতে হবে। বিশাল অংকের করভার চাপানো হলে ব্যবসীয়রা বাঁচবে না। আর ব্যবসায়ী না বাঁচলে দেশ ও দেশের মানুষ বাঁচবে না।
মাতলুব বলেন, বাজেটে ব্যবসায়ীদের পক্ষে এফবিসিসিআই সুনির্দিষ্ট করে ৭টি প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবনায় তার একটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন থেকে নানা অভিযোগ আসছে। তাদের কোনো প্রস্তাবনা মানা হয়নি। বরং করভার বাড়ানো হয়েছে। এ বাজেট পাস হলে ব্যবসায়ীরা বাঁচবে না। সম্পূরক বাজেট এফবিসিসিআই বিশ্লেষণ করে ৮/৯ তারিখে পূর্ণাঙ্গ প্রতিক্রিয়া জানাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের অনেক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ীদের আপত্তি রয়েছে। বিশেষ করে প্যাকেজ ভ্যাট যে হারে বাড়ানো হয়েছে তা অস্বাভাবিক। এটা কোনোভাবেই মানা হবে না।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) বলেন, পোশাক শিল্পের উৎসে করহার কমানোর দাবি করেছিল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু উল্টো পোশাক শিল্পের উৎসে করহার বাড়িয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটা অযৌক্তিক। এ কারণে দেশের রপ্তানি আয় হুমকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে না।
এ সময় মাতলুব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ৪ মাস ধরে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের আলোচনার কোনো প্রভাব বাজেটে নেই। শুধু শোনার জন্য হলে আলোচনার কোনো দরকার নেই। শুধু শুধু আমাদের সময় নষ্ট করে লাভ কী? এ সময়টা আমাদের ব্যবসায় দিলে ভাল হতো।