দেড় হাজারকে আসামি করে মামলা, কর্মবিরতিতে নার্সরা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসাঘেরাওয়ের সময় পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে অজ্ঞাত প্রায় দেড় হাজার আন্দোলনকারী নার্সকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করে। এদিকে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সারা দেশে বেসরকারি নার্সরা কর্মবিরতি শুরু করেছে। বাংলাদেশ বেকার নার্সদের ওপর পুলিশ ও বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীর অমানবিক, বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০২ জুন) সকাল থেকে দেশের সকল নার্সিং ইনস্টিটিউট-এ প্রতিবাদী প্রতীকী কালো ব্যাজ ধারণ এবং ক্লাস ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বর্জন ঘোষণা করে সংগঠনটি।

সংগঠনের সভাপতি রিনা আক্তার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, আমরা আন্দোলনকারী নার্সদের শুধু বলেছিলাম রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন না করে একটু সাইডে গিয়ে বসেন। তাহলে আর যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে না। তারা আমাদের কথা না শুনে উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।এদিকে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাভাপতি রিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলামেইলক বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে লাঠিচার্জ করেছে। এতে আমাদের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আমাদের আন্দোলন মেনে নেয়া হবে, ততক্ষণ সারা দেশে আমাদের কর্মবিরতি চলবে।রাজধানীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পপুলার,ল্যাবএইড,মেডিনোভা, ইবনেসিনাসহ বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাওছার হুসাইন বলেন, সারা দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলোতে নার্সদের সেবা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সেই সঙ্গে সকল নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টসরা ক্লাস, ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস বন্ধ করে ধর্মঘট করছেন।তিনি আরো বলেন, আমরা এখনও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে আছি। আজ বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো আশ্বাস না পেলে ৫টার পর দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।এর আগে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে আন্দোলনরত নার্সদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় অন্তত ৫০ নার্স গুরুতর আহত হন। এছাড়াও পুলিশি নির্যাতনে আন্দোলনে আসা সালমা আক্তার নামে এক নার্সের গর্ভপাত হয় বলেও দাবি করেন তার সহকর্মীরা।