প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের আমন্ত্রণে সেদেশে চারদিনের সরকারি সফর শেষে আজ রাতে দেশে ফিরেছেন। জাপান সফরকালে শেখ হাসিনা ২৭ মে নাগোয়া শহরে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত বিশ্বের ৭টি দেশের জোট জি-৭’র আউটরিচ সভায় যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি আজ রাত ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাপানের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ৭টায় টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের চিফ প্রটোকল কাওরু শিমাজাকি সাও প্রধানমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে বিদায় জানান। শেখ হাসিনা জি-৭ আউটরিচ বৈঠকে দু’টি অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ফটোসেশনেও যোগ দেন এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ভোজসভায় অংশ নেন।
আউটরিচ সভার পাশাপাশি শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এবং শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রিসেনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী জাপানের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ সভায় মিলিত হন এবং এফবিসিসিআই ও জেট্রো’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। তিনি জাপানের রাজধানী টোকিও’র ইমপিরিয়াল হোটেলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ চ্যান্সেরী কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন। এ সফরে অন্যান্যদের সঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।