জেলায় এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এখন শতাধিক বাগানে প্রতিবছর বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গ্রীস্মের রসালো ফল লিচুর আবাদ হচ্ছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারো শতাধিক বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে লিচুর। রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলের লিচু বাজারে আসার অনেক আগেই এখানে স্থানীয় বাগানের লিচু উঠেছে বাজারগুলোতে। দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানিয়েছেন, সরকারিভাবে লিচু চাষের ব্যাপারে দেবীগঞ্জের কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে এলাকায় ব্যাক্তি উদ্দ্যোগে লিচু বাগান করতে উৎসাহিত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, স্থানীয় বাগানে ফলন হওয়া লিচু অন্য অঞ্চলের চেয়ে অনেক সুস্বাদু। তাই এখানকার লিচু মৌসুম শুরু হওয়ার অনেক আগে বাগান থেকে বিত্রিু হয়ে যায়।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, শুধু দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২শ বিঘা জমির ওপর ২০ থেকে ২৫ টি লিচু বাগান রয়েছে। প্রথম দিকে কয়েকজন শখের বসে আবাদ করলেও সময়ের ব্যবধানে এ সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে, লাভও পাচ্ছেন বাগান মালিকরা। বাগান মালিকদের তথ্য মতে প্রতিবছর একটি বাগান থেকে ২ থেকে ৩ লাক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন তারা। উপজেলার বোদাপড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক ৬ বছর আগে তার ১০ বিঘা জমির ওপর করেছেন লিচু বাগান , এ বছর তার বাগান বিত্রিু হয়েছে ৩ লাক্ষ টাকায় । এভাবে এলাকার অনেকে এখন অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। দেবীগঞ্জ উপজেলার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক কাদের বাসসকে জানিয়েছেন, প্রায় এক মাসের কম ব্যবধানের সময় থেকেই স্থানীয় বাগানের উৎপাদিত লিচু বাজারে বিত্রিু হচ্ছে। বর্তমানে ১শ লিচু ২শ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।