ওই চারটি ওভারের জন্যই অধীর আগ্রহে বসে ছিল বাংলাদেশ। আইপিএলে গুজরাট লায়নসের সঙ্গে বাঁচা-মরার ম্যাচ। জিতলে ফাইনাল, হারলে বিদায়। এমন ম্যাচে আরও একবার মুস্তাফিজুর রহমানকেই তো নায়কের আসনে দেখতে চাওয়া সবার। কিন্তু মাঠে বল গড়ানোর আগেই সেই আশার গুড়ে বালি। হ্যামস্ট্রিংয়ের সামান্য চোট সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে দেয়নি বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসারকে।
মুস্তাফিজকে ছাড়াই অবশ্য ৪ উইকেটে জিতেছে হায়দরাবাদ। ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের ৫৮ বলে ৯৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ফাইনালে তুলে দিল দলকে। যেখানে আগেই প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এর আগে অ্যারন ফিঞ্চের ৩২ বলে ৫০, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ২৯ বলে ৩২ রানে ভর করে ১৬২ রান করে গুজরাট। মুস্তাফিজের চোট এই ম্যাচে সুযোগ করে দেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-আইপিএল মিলিয়ে ২০ ম্যাচ দলের বাইরে থাকা ট্রেন্ট বোল্টকে। কিউই পেসার অবশ্য মুস্তাফিজের অভাব পূরণ করতে পারেননি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান, উইকেট ১টি।
রান তাড়া করতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে হায়দরাবাদও। অষ্টম ব্যাটসম্যান বিপুল শর্মা (৩ ছক্কায় ১১ বলে ২৭ রান) ছাড়া আর কেউ ওয়ার্নারকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অবশ্য ওয়ার্নার যেদিন এমন রূপে দেখা দেন, সেদিন তিনি একাই যথেষ্ট। পুরো ইনিংস একাই টেনে নিয়েছেন, ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ধাওয়ান-যুবরাজ-হেনরিকেসরা যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ, সেখানে নিখুঁত অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। প্রায় সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসটি ওয়ার্নার সাজিয়েছেন ১১ চার ও ৩ ছক্কায়।হায়দরাবাদ অধিনায়কের বীরোচিত ব্যাটিংই ফাইনালে কাটার-স্লোয়ার-ইয়র্কারে পূর্ণ মুস্তাফিজের ২৪টি বল দেখার আশা বাঁচিয়ে রাখল।