রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, গণহত্যার দশর্নই হচ্ছে জামায়াতের নিজস্ব দশর্ন। এই রাজনৈতিক দলটি ১৯৭১ সালে ইসলামের নামে জঘন্য অপরাধ করেছে।ঢাকা ক্লাবে শনিবার আয়োজিত আবদুল কাদের মোল্লা ঃ যুদ্ধাপরাধ, বিচার এবং ফাঁিস শীষর্ক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে একাত্তুরের ঘাতক দালাল নিমুর্ল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির এ কথা বলেন।
সাংবাদিক ও গবেষক শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াত নেতারা ইসলামের নামে গণহত্যাকে জায়েজ করে নিয়েছিল। তারা ইসলামের নামে ধষর্ণও জায়েজ করেছিল। এ সবই হলো জামায়াতের দশর্ন, এ সব হলো জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদির দশর্ন।অধ্যাপক ইমিরিটাস ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ উল আলম লেলিন, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কবি কাজী রোজী এমপি, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবিব, যুদ্ধাপরাধ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির আহবায়ক ড. এম এ হাসান, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, সাবেক কুটনীতিক ওয়ালি উর রহমান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কারি মো. আবদুল হান্নান খান, এবং কো- সমন্বয়কারি এম সানাউল হক।
পারিজাত প্রকাশনির প্রকাশিত গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন সৈয়দ জাহিদ হাসান এবং সোনিয়া হক।শাহরিয়ার কবির বলেন, ১৯৭২ সালের দালাল আইনের ধারাবাহিকতা হলো ১৯৭৩ সালের আইসিটি আইন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর এই প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায় এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য কারাগারে আটক অপরাধীদেরকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং এবং দেশী বিদেশী সকল ষড়যন্ত্রকারির বিরুদ্ধে এই বিচার অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন অন্ধকারে বসবাস করছিলাম, তবে আমি এখন মনে করি, আমরা এখন অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসতে সক্ষম হয়েছি। আমরা মিথ্যা থেকে সত্যের পথে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা কে আমাদের বন্ধু এবং কে শত্রু, সেটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই। আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে সক্ষম হয়েছি। অন্য কেউ এই বিচার করতে পারত না। পাকিস্তান এখন বিচারের বিরোধিতা করছে। এর একমাত্র কারণ হলো আমরা সঠিক পথে আছি।
কামরুল বলেন, এই বিচার আন্তর্জাতিক মানেই হচ্ছে। জামায়াত-বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এখন তারা ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসার সাথে হাত মিলিয়েছে। তারা যে কোন মূল্যে শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে চায়।
আওয়ামীলীগ নেতা লেলিন যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে বর্তমান সরকারে প্রতিশ্র“তি পুনর্ব্যাক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কাউকে পরোয়া করে না।ড. এমএ হাসান যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিরুদ্ধে তুরস্কের অবস্থানের সমালোচনা করে বলেন, আর্মেনীয় গণহত্যার রিংলিডার হলো তুরস্ক, ফলে সঙ্গত কারণেই তারা এই বিচারের বিরোধিতা করবে।