বাংলাদেশ কৃষি একাডেমি (বিএএজি) পুরস্কারের স্বর্ণ পদক পেয়েছেন দেশের বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। শনিবার ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএএজি’র পক্ষ থেকে তাঁকে এ পুরস্কারের স্বর্ণ পদক প্রদান করা হয়। ধান গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী ড. কাজী এম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুপ্রীম সীড কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. মাসুম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ।
ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক পদে বিগত ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ পদে যোগদানের আগে তিনি ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ও পরিচালক (গবেষণা) এবং উদ্ভিদ শারীরতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এ ইনস্টিটিউটে ১৯৮৩ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করে গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার নিয়মিত কলামিস্ট হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ১৯৫৭ সালে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার আঁধারকোটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি কলেজ থেকে ১৯৮১ সালে অনার্সসহ বিএসসি এজি এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি এজি ডিগ্রি লাভ করেন। ফিলিপাইনে অবস্থিত সেন্ট্রাল লুজন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ১৯৯৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ড. বিশ্বাস বৈরি পরিবেশে অভিযোজন উপযোগী কিছু ধানের জাত উদ্ভাবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বর্তমানে তিনি এদেশে জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেম (এনএআরএস) এর আওতাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে অন্যতম জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। প্রায় তিন দশকের বেশি সময়ে গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে ড. বিশ্বাস ফিলিপাইন, জাপান, হংকং ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। ইতোপূর্বে তিনি জাপানের মর্যাদা সম্পন্ন ঔঝচঝ, ওজজও ও ঝঊঅজঈঅ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন। তার রচিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে রয়েছে,্র‘ধান গবেষণা, শত বর্ষের কিছু কথা,’ ‘কৃষি এবং বিবিধ ভাবনা’ ঈড়ষফ ংঃৎবংং ঃড়ষবৎধহপব রহ ৎরপব ঢ়ষধহঃ ইত্যাদি। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা জার্নালে তার ৫০টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।