মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তার স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও পুত্রবধুরা শনিবার দেখা করেছেন। এটি তাদের নিয়মিত সাক্ষাৎ বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার মোঃ নাশির আহমেদ জানান, মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার মীর কাসেম আলী এ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্ধি আছেন। মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য তার স্ত্রী খন্দকার আয়শা খাতুন, ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেম, মেয়ে তাহেরা তাসমিন ও সুমাইয়া রাবেয়া এবং পুত্রবধু সায়েদা তাহমিদা শনিবার বেলা ১১ টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ আসেন এবং আবেদন করেন। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেলা ১২ টার দিকে মীর কাসেম আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। পরিবারের সদস্যরা মীর কাসেম আলীর সঙ্গে কারাগারের একটি কক্ষে সাক্ষাত করেন এবং প্রায় আধা ঘন্টা কথা বলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক জানান, মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি মীর কাসেম আলী এ কারাগারের ৪০ নম্বর কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। মীর কাসেম আলী গ্রেফতারের পর ২০১২ সাল থেকে এ কারাগারে রয়েছেন। একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে কাসেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের বছর ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় তার যুদ্ধাপরাধের বিচার। ২০১৪ সালের আগে হাজতবাসকালে তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। পরে দন্ডপ্রাপ্তির পর তাকে ফাঁসির (কনডেম) সেলে পাঠানো হয়।
তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, গত ৮মার্চ আদালত মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় বহালের আদেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রেখে ওই রায় ঘোষণা করেন। এখন পর্যন্ত ওই রায়ের কোন প্রিন্টেড কপি আমরা হাতে পাইনি।