শুরুর দিকের চিত্র এতটা আশান্বিত ছিল না। অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল মুস্তাফিজের হায়দরাবাদ। তবে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রানে ফেরায় স্বস্তি, সঙ্গে মুস্তাফিজ- নেহরা-ভুবনেশ্বরদের জ্বলে ওঠা। সব মিলিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানেও ছিল হায়দরাবাদ বেশকিছুদিন। তবে শেষের দিকে আবারও ছন্দ পতন। কয়েকটি হারে অবস্থান এখন তৃতীয়। তারপরও মুস্তাফিজের দল খেলছে প্লে অফ, খুশি ভক্ত-সমর্থকরা।সাকিব আল হাসানের ক্ষেত্রে কিছুটা উল্টো। শুরুর দিককার ম্যাচগুলোতে কলকাতা ছিল বেশ অপ্রতিরোধ্য। যেসব ম্যাচে সাকিব ছিলেন মাঠের বাইরে। তবে ধীরে ধীরে স্কোয়াডে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন তিনি। শেষের দিকে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই প্লে অফ নিশ্চিত করার কথা ছিল সাকিবদের। কিন্তু হয়নি। বাঁচা-মরার শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে চতুর্থ স্থান নিশ্চিত করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
হায়দরাবাদ তৃতীয়,কলকাতা চতুর্থ। অনুমিতভাবেই উঠে আসছে সাকিব-মুস্তাফিজের লড়াই। নিয়ম অনুযায়ী আইপিএলের এলিমেনেটর পর্বে মুখোমুখি হবে দল দুটি আগামী ২৫ মে। যারা হারবে, তারা বাদ। জয়ী দল এগিয়ে যাবে ফাইনালে পথে। প্রশ্ন হচ্ছে, কে যাবে ফাইনালে পথে, সাকিব না মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মধুর সমস্যায় পড়ে গেছে অনেক দর্শক। সাকিব না মুস্তাফিজ, কাকে সমর্থন জানাবে সবাই। তবে বয়সে তরুণ আর বিস্ময়কর পেস কাটারের বদৌলতে এবার মুস্তাফিজের সমর্থনের পাল্লা যে ভারী, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু আইপিএলের পরিসংখ্যানে কলকাতার বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের অবস্থা নাজুক। চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। দুইবার জিতেছে কলকাতা, হেরেছে মুস্তাফিজ শিবির। বুধবার সাকিবদের বিরুদ্ধে কি ঘুড়ে দাড়াতে পারবে সানরাইজার্স হায়দারাবাদ? সময়ই বলে দেবে।
একদিন আগে অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে গুজরাট লায়ন্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। এই ম্যাচের জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। আর পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলবে এলিমেনেটর পর্বে জয়ী দলের (কলকাতা অথবা হায়দরাবাদ) সঙ্গে। এই ম্যাচে জয়ী দল চলে যাবে ফাইনালে। আগামী ২৯ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচ।