অনেকের সঙ্গে আপনার ফেসবুক বন্ধুত্ব থাকতে পারে। তবে সেই বন্ধু তালিকায় ভুয়া ফ্রেন্ড কেউ আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখুন। সম্প্রতি ফেসবুকে একজন নারীর নামে খোলা একটি ফেসবুক প্রোফাইল দ্রুত ছড়াচ্ছে। ওই ফেসবুক প্রোফাইলের নাম ‘মধু শাহ। ওই নামে ৩৪ টির বেশি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং সবগুলোই ভুয়া প্রোফাইল। ওই প্রোফাইলের ছবিগুলো এক হলেও স্থান ও প্রোফাইলের তথ্য ভিন্ন ভিন্ন।ওই ভুয়া অ্যাকাউন্টটি থেকে স্প্যাম ছড়ানো ও ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ উঠেছে। যদি মধু শাহ নামের অপরিচিত কেউ আপনার ফেসবুক বন্ধু তালিকায় থাকে দ্রুত তাকে আনফ্রেন্ড করে দিতে পারেন।
এরকম অনেক ভুয়া প্রোফাইল ফেসবুক জুড়ে রয়েছে।ফেসবুকের যে আইডিগুলোতে ব্যবহারকারী তার নাম, পরিচয়, লিঙ্গ, ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, কর্মক্ষেত্র, পড়াশোনার স্থানসহ কোনো কোনো ব্যক্তিগত বিষয়ে ভুয়া বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে, সেগুলোকে ফেক আইডি বলা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা ও অন্যকে প্রতারণা করাটা ব্যবহারকারীর খারাপ দিক; এটি ফেসবুকের খারাপ দিক নয়। ভুয়া আইডির বিড়ম্বনা থেকে স্বস্তি পেতে বন্ধুত্বের অনুরোধগুলো ভালো করে যাচাই-বাছাই করে দেখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফেসবুকে অচেনা-অজানা কাউকে বন্ধু বানাবেন না। কারণ ফেসবুকে ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার ওপর নজরদারি করা হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এখন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে বন্ধুর ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন।